ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ধানমন্ডি লেক-হাতিরঝিলে উপচেপড়া ভিড়

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : কোভিড-১৯ পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভেঙে রাজধানীর ধানম-ি লেক ও হাতিরঝিলে ভিড় করেছে নগরবাসী। ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকালে ধানমন্ডি ও হাতিরঝিল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। ধানমন্ডি লেক এলাকার রবিন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি ৩২, ধানম-ি ৮ নম্বর এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এখনো অনেক মানুষ আসছেন বিনোদনের এই দুই স্পটে।
এসব জায়গায় নারী, পুরুষ ও বৃদ্ধদের পাশাপাশি দেখা গেছে শিশুদেরও দেখা গেছে। তাদের কেউ আড্ডায় মত্ত, কেউবা খাওয়া-দাওয়ায়। কেউবা লেকের পাশে বসে একান্তে আলাপচারিতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে এমন আশঙ্কায় ঈদের ছুটিতে তাদের অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাননি। ইট-পাথরের শহরে বেশি সময় ঘরের মধ্যেও থাকাও কষ্টের। তাই পরিবার, পরিজন, আত্মীয় ও বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে আসা সিনথিয়া খান ঢাকা টাইমসকে জানান, ঘরে থাকতে ভালো লাগে না তাই বের হয়েছেন। সিনথিয়া বলেন, ঈদের দিনও কি মানুষ ঘরে বসে থাকবে? একটু ঘুরতে বের হইছি। রায়েরবাজার থেকে আসা শারমিন আক্তার বলেন, ‘শুক্রবার থেকে তো আবার লকডাউন। তখন তো বের হতে পারব না। এই আগে বের হইলাম।’
কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই বিকাল হতেই ঘর ছেড়ে বের হয়েছে মানুষ। জায়গা করে নিয়েছেন রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানগুলোতে। কিন্তু এসব উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা গেছে হাতে গোনা কিছু মানুষের মধ্যে। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর মুখেই মাস্কের দেখা নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব।
আবার লেকের খাবার বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। উন্মুক্ত পরিবেশে খাবার রান্না ও পরিবেশ করা হচ্ছে এসব দোকান থেকে। অনেক বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। ঈদের দিন বিকালেও একই রকম ভিড় ছিল ধানমন্ডি লেক এলাকায়। একই রকম ভিড় দেখা গেছে হাতিরঝিল এলাকাতেও। বেশ কয়েকটি এলাকাকে যুক্ত করা এই ঝিল পাড়ে ঈদের দিন বিকালে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। একই চিত্র ঈদের দ্বিতীয় দিনেও। সকল বয়সের মানুষের সমান বিচরণ জায়গাটিতে। কোভিড-১৯ উপেক্ষা করে ঘুরতে আসার কারণ জানতে চাইলে নানান অজুহাত তাদের। অজুহাতের বড় একটি জায়গা দখল করে ছিল আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউন। দর্শনার্থীদের দাবি, আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাসা থেকে তারা বের হতে পারবেন না। তাই লকডাউনের আগে একটু ঘোরাফেরা করতে চাচ্ছেন তারা। ঢাকাবাসীর ঘোরাফেরা চিত্র দেখা গেছে, বাবুবাজার ব্রিজ, মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন, মিরপুর বেড়িবাঁধের দিয়াবাড়ি, কেরানীগঞ্জের বসিলা নতুন রাস্তা, কলাতিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধানমন্ডি লেক-হাতিরঝিলে উপচেপড়া ভিড়

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

মহানগর প্রতিবেদন : কোভিড-১৯ পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভেঙে রাজধানীর ধানম-ি লেক ও হাতিরঝিলে ভিড় করেছে নগরবাসী। ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকালে ধানমন্ডি ও হাতিরঝিল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। ধানমন্ডি লেক এলাকার রবিন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি ৩২, ধানম-ি ৮ নম্বর এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এখনো অনেক মানুষ আসছেন বিনোদনের এই দুই স্পটে।
এসব জায়গায় নারী, পুরুষ ও বৃদ্ধদের পাশাপাশি দেখা গেছে শিশুদেরও দেখা গেছে। তাদের কেউ আড্ডায় মত্ত, কেউবা খাওয়া-দাওয়ায়। কেউবা লেকের পাশে বসে একান্তে আলাপচারিতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে এমন আশঙ্কায় ঈদের ছুটিতে তাদের অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাননি। ইট-পাথরের শহরে বেশি সময় ঘরের মধ্যেও থাকাও কষ্টের। তাই পরিবার, পরিজন, আত্মীয় ও বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে আসা সিনথিয়া খান ঢাকা টাইমসকে জানান, ঘরে থাকতে ভালো লাগে না তাই বের হয়েছেন। সিনথিয়া বলেন, ঈদের দিনও কি মানুষ ঘরে বসে থাকবে? একটু ঘুরতে বের হইছি। রায়েরবাজার থেকে আসা শারমিন আক্তার বলেন, ‘শুক্রবার থেকে তো আবার লকডাউন। তখন তো বের হতে পারব না। এই আগে বের হইলাম।’
কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই বিকাল হতেই ঘর ছেড়ে বের হয়েছে মানুষ। জায়গা করে নিয়েছেন রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানগুলোতে। কিন্তু এসব উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা গেছে হাতে গোনা কিছু মানুষের মধ্যে। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর মুখেই মাস্কের দেখা নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব।
আবার লেকের খাবার বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। উন্মুক্ত পরিবেশে খাবার রান্না ও পরিবেশ করা হচ্ছে এসব দোকান থেকে। অনেক বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। ঈদের দিন বিকালেও একই রকম ভিড় ছিল ধানমন্ডি লেক এলাকায়। একই রকম ভিড় দেখা গেছে হাতিরঝিল এলাকাতেও। বেশ কয়েকটি এলাকাকে যুক্ত করা এই ঝিল পাড়ে ঈদের দিন বিকালে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। একই চিত্র ঈদের দ্বিতীয় দিনেও। সকল বয়সের মানুষের সমান বিচরণ জায়গাটিতে। কোভিড-১৯ উপেক্ষা করে ঘুরতে আসার কারণ জানতে চাইলে নানান অজুহাত তাদের। অজুহাতের বড় একটি জায়গা দখল করে ছিল আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউন। দর্শনার্থীদের দাবি, আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাসা থেকে তারা বের হতে পারবেন না। তাই লকডাউনের আগে একটু ঘোরাফেরা করতে চাচ্ছেন তারা। ঢাকাবাসীর ঘোরাফেরা চিত্র দেখা গেছে, বাবুবাজার ব্রিজ, মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন, মিরপুর বেড়িবাঁধের দিয়াবাড়ি, কেরানীগঞ্জের বসিলা নতুন রাস্তা, কলাতিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায়।