ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ধাক্কা দিয়ে আ.লীগকে ফেলা যাবে না : শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ১০:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলো, আর একেবারেই পড়ে গেলো-এত সহজ নয়।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলো, আর আওয়ামী লীগ একেবারেই পড়ে গেলো-এত সহজ নয়। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ যদি ভোট চুরি করে—তাকে ক্ষমতা থেকে হটানো, সেটা আওয়ামী লীগ পারে। এটা আমরা প্রমাণ করেছি বারবার। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা নিজের দলে করি, দেশেও গণতন্ত্রের চর্চা করি।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থান কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান, সব অতিরা এক হয়ে গেছে। আতিপাতি নেতা হয়ে একেবারে আমাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতই করবে। একটা কথা বলে দিতে চাই—আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে।
আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বিএনপি ও তাদের পক্ষে ভাড়াটিয়ারা দেশে-বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়-দাবি করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। খুব একটা আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর নিয়ে। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেলো গোলাপবাগে। সেটা আর আমি বলতে চাই না। সেখানেই যেতে হলো।
গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওদের জন্ম তো গণতন্ত্রের জন্য হয়নি। হয়েছে ক্ষমতা দখলকারী, সংবিধান লঙ্ঘনকারী সামরিক শাসকের পকেট থেকে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল গঠন করা হয়েছিল সেই দল—এরা তো ভাসমান। এদের বাংলাদেশের প্রতি কেন দরদ থাকবে? এই জন্যই তো তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ খুন করে। হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে তারা আনন্দ পায়।’
২০০১ সালে আওয়ামী লীগই একমাত্র শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগেও হয়নি, পরেও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। খালেদা জিয়ার অধীনে দুটি নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, আর ২০০৬ সালের (২০০৭ সাল হবে) ২২ জানুয়ারির নির্বাচন। দুটি নির্বাচনই তো বাতিল করতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, জনগণের ভোট চুরি করার ফলে তারাই তাদের বিতাড়িত করে। বারবার যারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, বিতাড়িত তারা গণতন্ত্রটা চর্চা করলো কবে? তাদের নিজেরই তো গণতন্ত্র নেই। তাদের দলেরই কোনও ঠিকানা নেই।
নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও ইভিএম আওয়ামী লীগ চালু করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন উঠাতে পারে না। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করা হয়—সেই নির্বাচনে কয়টা আসন পেয়েছিল। তিনশ’ আসনের মধ্যে ৩০টি আসন পেয়েছিল তারা। ওই নির্বাচন নিয়ে তো কোনও প্রশ্ন নেই। এরপর তো আমরা ক্ষমতায় আসার পরে জনগণের কল্যাণে কাজ করে আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করেছি বলেই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ যে কী ছিল-এখনকার ছেলেমেয়েরা সেটা ধারণাই করতে পারবে না। সেটা তারা চিন্তাই করতে পারবে না। তাদের জানা উচিত আওয়ামী লীগ এটা ওয়াদা দিয়েছিল। ওয়াদা দিয়েছিল বলেই সেটা পূরণ করেছে। আওয়ামী লীগ যেটা বলে, সেটা রাখে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। কিন্তু সেটা অধরা ছিল। বাঙালির মুখে কিন্তু সেই রকম হাসি ফোটেনি। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে এলেন সেদিনই যেন আমাদের বিজয় সম্পূর্ণ হলো। স্বাধীনতা অর্জনটা সার্থক হলো।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারজানা ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তারানা হালিম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের একটি কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রেখেছিল। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছিল। এমনকি জেলাখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন পরে একে একে সব করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই শেষ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধাক্কা দিয়ে আ.লীগকে ফেলা যাবে না : শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ১০:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলো, আর একেবারেই পড়ে গেলো-এত সহজ নয়।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলো, আর আওয়ামী লীগ একেবারেই পড়ে গেলো-এত সহজ নয়। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ যদি ভোট চুরি করে—তাকে ক্ষমতা থেকে হটানো, সেটা আওয়ামী লীগ পারে। এটা আমরা প্রমাণ করেছি বারবার। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা নিজের দলে করি, দেশেও গণতন্ত্রের চর্চা করি।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থান কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান, সব অতিরা এক হয়ে গেছে। আতিপাতি নেতা হয়ে একেবারে আমাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতই করবে। একটা কথা বলে দিতে চাই—আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে।
আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বিএনপি ও তাদের পক্ষে ভাড়াটিয়ারা দেশে-বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়-দাবি করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। খুব একটা আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর নিয়ে। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেলো গোলাপবাগে। সেটা আর আমি বলতে চাই না। সেখানেই যেতে হলো।
গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওদের জন্ম তো গণতন্ত্রের জন্য হয়নি। হয়েছে ক্ষমতা দখলকারী, সংবিধান লঙ্ঘনকারী সামরিক শাসকের পকেট থেকে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল গঠন করা হয়েছিল সেই দল—এরা তো ভাসমান। এদের বাংলাদেশের প্রতি কেন দরদ থাকবে? এই জন্যই তো তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ খুন করে। হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে তারা আনন্দ পায়।’
২০০১ সালে আওয়ামী লীগই একমাত্র শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগেও হয়নি, পরেও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। খালেদা জিয়ার অধীনে দুটি নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, আর ২০০৬ সালের (২০০৭ সাল হবে) ২২ জানুয়ারির নির্বাচন। দুটি নির্বাচনই তো বাতিল করতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, জনগণের ভোট চুরি করার ফলে তারাই তাদের বিতাড়িত করে। বারবার যারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, বিতাড়িত তারা গণতন্ত্রটা চর্চা করলো কবে? তাদের নিজেরই তো গণতন্ত্র নেই। তাদের দলেরই কোনও ঠিকানা নেই।
নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও ইভিএম আওয়ামী লীগ চালু করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন উঠাতে পারে না। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করা হয়—সেই নির্বাচনে কয়টা আসন পেয়েছিল। তিনশ’ আসনের মধ্যে ৩০টি আসন পেয়েছিল তারা। ওই নির্বাচন নিয়ে তো কোনও প্রশ্ন নেই। এরপর তো আমরা ক্ষমতায় আসার পরে জনগণের কল্যাণে কাজ করে আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করেছি বলেই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ যে কী ছিল-এখনকার ছেলেমেয়েরা সেটা ধারণাই করতে পারবে না। সেটা তারা চিন্তাই করতে পারবে না। তাদের জানা উচিত আওয়ামী লীগ এটা ওয়াদা দিয়েছিল। ওয়াদা দিয়েছিল বলেই সেটা পূরণ করেছে। আওয়ামী লীগ যেটা বলে, সেটা রাখে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। কিন্তু সেটা অধরা ছিল। বাঙালির মুখে কিন্তু সেই রকম হাসি ফোটেনি। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে এলেন সেদিনই যেন আমাদের বিজয় সম্পূর্ণ হলো। স্বাধীনতা অর্জনটা সার্থক হলো।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারজানা ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তারানা হালিম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের একটি কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রেখেছিল। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছিল। এমনকি জেলাখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন পরে একে একে সব করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই শেষ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।