ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে এসআই

  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে বিধবার ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় ভাসুরের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আব্দুল জলিল ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিলো তার। সে সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন পুলিশ সদস্য জলিল। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আব্দুল জলিল। বাদীপক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত অবস্থায় বাদীনির দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান। সেখানে গিয়েই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আব্দুল জলিল অসংখ্যবার তাকে ধর্ষণ করেন। ওই মামলায় এসআই জলিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে এসআই

আপডেট সময় : ০১:০০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে বিধবার ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় ভাসুরের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আব্দুল জলিল ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিলো তার। সে সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন পুলিশ সদস্য জলিল। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আব্দুল জলিল। বাদীপক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত অবস্থায় বাদীনির দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান। সেখানে গিয়েই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আব্দুল জলিল অসংখ্যবার তাকে ধর্ষণ করেন। ওই মামলায় এসআই জলিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।