ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ধর্ষণের শিকার নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ দেখানোর সুযোগ বাদ যাচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণ মামলায় ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সেজন্য সরকার বিদ্যমান সাক্ষ্য আইন সংশোধনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমনন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধরায়, এখানে রেইপ কেইসে ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে কথা বলার একটা সাব সেকশন আছে। সেটাকেও পরিবর্তন করার জন্য আমি নির্দেশনা পেয়েছি। সেটাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা মনে হয় পূর্ণাঙ্গভাবে সেপ্টেম্বর মাসে যে সংসদ অধিবেশন হবে, সেখানে আইন নিয়ে আসতে পারব।”
সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ১৫৫(৪) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যখন ‘বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার’ অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’।
ধর্ষণের অভিযোগে সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। ধর্ষনের অপরাধে শাস্তি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের মুখে গতবছর নভেম্বর মাসে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইন সংশোধন করে সরকার। সেখানে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ দুটি বসানো হয়। এছাড়া ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা সংশোধনের জন্যও দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন অধিকারকর্মীরা।
নতুন সাক্ষ্য আইনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ রাখা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, “এখানে একটু বলে রাখি, সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করার জন্য কাজ চলছে। আমার মনে হয় আগামী সংসদে আমরা এটা আনতে পারব। বিশেষ করে এটা হবে ভার্চুয়ালৃ
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আগে ধন্যবাদ জানাই। ২০২০ সালে কোভিডের প্রকোপ শুরু হল, তখন আদালত ২৫ মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিল। অনেক মামলা জমে গিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম চালু করার আইন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
“ৃপাশাপাশি সেইজন্য এখন একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেটাকে আমরা বাংলায় বলি, সাক্ষ্য আইন; সাক্ষ্য আইনে ভার্চুয়াল ট্রায়াল করার কোনো সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুর জেলে এবং কেরানীগঞ্জ জেলে আদালত যাতে ওখান থেকে ভার্চুয়ালি করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আইনের পরিবর্তন করে এই সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন করার কাজ করছি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের শিকার নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ দেখানোর সুযোগ বাদ যাচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণ মামলায় ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সেজন্য সরকার বিদ্যমান সাক্ষ্য আইন সংশোধনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমনন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধরায়, এখানে রেইপ কেইসে ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে কথা বলার একটা সাব সেকশন আছে। সেটাকেও পরিবর্তন করার জন্য আমি নির্দেশনা পেয়েছি। সেটাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা মনে হয় পূর্ণাঙ্গভাবে সেপ্টেম্বর মাসে যে সংসদ অধিবেশন হবে, সেখানে আইন নিয়ে আসতে পারব।”
সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ১৫৫(৪) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যখন ‘বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার’ অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’।
ধর্ষণের অভিযোগে সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। ধর্ষনের অপরাধে শাস্তি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের মুখে গতবছর নভেম্বর মাসে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইন সংশোধন করে সরকার। সেখানে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ দুটি বসানো হয়। এছাড়া ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা সংশোধনের জন্যও দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন অধিকারকর্মীরা।
নতুন সাক্ষ্য আইনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ রাখা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, “এখানে একটু বলে রাখি, সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করার জন্য কাজ চলছে। আমার মনে হয় আগামী সংসদে আমরা এটা আনতে পারব। বিশেষ করে এটা হবে ভার্চুয়ালৃ
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আগে ধন্যবাদ জানাই। ২০২০ সালে কোভিডের প্রকোপ শুরু হল, তখন আদালত ২৫ মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিল। অনেক মামলা জমে গিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম চালু করার আইন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
“ৃপাশাপাশি সেইজন্য এখন একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেটাকে আমরা বাংলায় বলি, সাক্ষ্য আইন; সাক্ষ্য আইনে ভার্চুয়াল ট্রায়াল করার কোনো সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুর জেলে এবং কেরানীগঞ্জ জেলে আদালত যাতে ওখান থেকে ভার্চুয়ালি করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আইনের পরিবর্তন করে এই সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন করার কাজ করছি।”