ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল চায় জাসদ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল চায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটি এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা এবং নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসির) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি তোলা হয়। সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংলাপে অংশ নেয়। দলটির তার প্রস্তাবে জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠান; কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনও রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের না জড়ানো; নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেওয়া; নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের অযাচিত নাক না গলানো; জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনও সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দুর্বলতা থাকলে তা সংস্কার; ইভিএমের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং একইসঙ্গে ইভিএম ও ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি; ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন; প্রবাসী ভোটার নিশ্চিতকরণের সুপারিশ করেছে। জাসদ তার প্রস্তাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা ও একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি তুলেছে। এছাড়া দলটি নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। জাসদ নির্বাচনি ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ ও অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ; নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন ও অসদাচারণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল চায় জাসদ

আপডেট সময় : ০১:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল চায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটি এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা এবং নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসির) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি তোলা হয়। সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংলাপে অংশ নেয়। দলটির তার প্রস্তাবে জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠান; কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনও রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের না জড়ানো; নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেওয়া; নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের অযাচিত নাক না গলানো; জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনও সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দুর্বলতা থাকলে তা সংস্কার; ইভিএমের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং একইসঙ্গে ইভিএম ও ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি; ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন; প্রবাসী ভোটার নিশ্চিতকরণের সুপারিশ করেছে। জাসদ তার প্রস্তাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা ও একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি তুলেছে। এছাড়া দলটি নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। জাসদ নির্বাচনি ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ ও অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ; নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন ও অসদাচারণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে।