ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

দ্রুত সম্পর্ক ভাঙার কারণসমূহ

  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একটি সম্পর্ক হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসার কাঁধে ভর করেই দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি সম্পর্ক। আর তাতে আস্তর হিসেবে প্রলেপ পরে বিশ্বাসের আর অনুভূতির। ভালোবাসা এভাবেই জুড়ে থাকে জগৎ-সংসারে।
প্রত্যেকটি সম্পর্কের মাঝে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা। যখন কোনো সম্পর্কে অশান্তি বেশি হয় কিংবা চোখে চোখে বেশি রাখা হয় তার মানে এই না যে সেই মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করে না। বরং এর মানে এই যে, সেই মানুষটি আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসে বলে সব সময় আপনার সুরক্ষা চায়। তবুও সম্পর্কের মাঝে অবিশ্বাস জন্মায়। তাতে নানাভাবে আরেকটি মানুষের জায়গা হয়ে যায়। যাকে একটি সময় জীবনের সবচেয়ে কাছের আর আপন মানুষ মনে করতেন সেই মানুষটিই চোখের পলকে পাল্টে যায়। আচরণে আসে অনেক পরিবর্তন। যা হতে পারে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পূর্বাভাস। যে মানুষটিকে সে ভালোবাসতো, সেই মানুষের মধ্যে কি তাহলে পরিবর্তন এসেছে! অথবা মনের অজান্তেই কি আপনি পাল্টে যাচ্ছেন। কারণ যা ই হোক, ফলাফলের খাতায় যার কোনো মানে নেই সেই জীবনের সমীকরণ দিয়ে জীবনতরী পার করা যায় না। তাই সম্পর্কে ভাঙন ধরার আগেই কি কি কারণে সম্পর্ক ভাঙতে পারে তা জেনে নিন-
যা চাচ্ছেন তা বোঝাতে না পারা: সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে এটি একটি অনেক বড় কারণ। আপনি যা বোঝাতে চাচ্ছেন, ঠিক যদি তার বিপরীতটি বোঝান তাহলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। ভুল বোঝাবুঝি যেমন হবে তেমনি তাতে আপনার মনে বাজে মনোভাব জন্মাবে। আর তাতে আপনার ভালোবাসা হারিয়ে যাবে।
কথা লুকিয়ে রাখা: আপনি যখন প্রিয়জনের কাছ থেকে কথা কিংবা যে কোনো কিছু লুকাবেন, তখন মনে হবে আপনার জীবনে তার গুরুত্ব নেই। এভাবে চলে আসে দূরত্ব। এর এই দূরত্ব থেকেই সম্পর্কে ভাঙন।
কাজ ও ক্লান্তির সময়ে কথায় লাগাম: আপনি নানা কারণেই ক্লান্ত থাকতে পারেন। কখনো তা কাজের চাপ আবার কখনো ব্যক্তিগত কারণে। তাই বলে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা না বলার বা কম বলার বাহানা খুঁজতে পারেন না। আপনার এই বাহানা প্রথম দিকে মানুষটি হয়তো খুব মারাত্মক আকারে নেবে। এরপরেই শুরু হবে সমস্যা। সে আপনাকে তার জন্য সময় বের করতে বলতে গিয়েও বলতে পারবে না। সময় কাটাতে খুঁজবে আরেক সঙ্গী। অন্যদিকে আপনি যখন কাজ করবেন তখন শুধুই কাজ করুন। কাজ আর ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা একই সঙ্গে করতে যাবেন না। ফলে যা হবে তা হচ্ছে আপনি না পারবেন কাজের দিকে মন দিতে না পারবেন তার দিকে। আর সম্পর্কের মাঝে সৃষ্টি হবে দূরত্ব।
তার সম্পর্কে অভিযোগ: কোনো মানুষই তার জায়গা থেকে একদম নিপুণ হয় না। আপনার কাছে আপনার ভালোবাসার মানুষটির যে কোনো কিছুই খারাপ লাগতে পারে। তবে আপনি তা তার বন্ধুদের সঙ্গে সেসব কথা ভাগাভাগি করতে যাবেন না। তাদের কাছে এর সমাধান চাইতে পারেন না। আপনার উচিত এ বিষয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। সম্পর্কের মাঝে কাউকে আসার সুযোগ করে না দেওয়া। এতে সম্পর্ক ভাঙে কম এর তার স্থায়িত্ব হয় বেশি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

দ্রুত সম্পর্ক ভাঙার কারণসমূহ

আপডেট সময় : ১০:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একটি সম্পর্ক হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসার কাঁধে ভর করেই দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি সম্পর্ক। আর তাতে আস্তর হিসেবে প্রলেপ পরে বিশ্বাসের আর অনুভূতির। ভালোবাসা এভাবেই জুড়ে থাকে জগৎ-সংসারে।
প্রত্যেকটি সম্পর্কের মাঝে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা। যখন কোনো সম্পর্কে অশান্তি বেশি হয় কিংবা চোখে চোখে বেশি রাখা হয় তার মানে এই না যে সেই মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করে না। বরং এর মানে এই যে, সেই মানুষটি আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসে বলে সব সময় আপনার সুরক্ষা চায়। তবুও সম্পর্কের মাঝে অবিশ্বাস জন্মায়। তাতে নানাভাবে আরেকটি মানুষের জায়গা হয়ে যায়। যাকে একটি সময় জীবনের সবচেয়ে কাছের আর আপন মানুষ মনে করতেন সেই মানুষটিই চোখের পলকে পাল্টে যায়। আচরণে আসে অনেক পরিবর্তন। যা হতে পারে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পূর্বাভাস। যে মানুষটিকে সে ভালোবাসতো, সেই মানুষের মধ্যে কি তাহলে পরিবর্তন এসেছে! অথবা মনের অজান্তেই কি আপনি পাল্টে যাচ্ছেন। কারণ যা ই হোক, ফলাফলের খাতায় যার কোনো মানে নেই সেই জীবনের সমীকরণ দিয়ে জীবনতরী পার করা যায় না। তাই সম্পর্কে ভাঙন ধরার আগেই কি কি কারণে সম্পর্ক ভাঙতে পারে তা জেনে নিন-
যা চাচ্ছেন তা বোঝাতে না পারা: সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে এটি একটি অনেক বড় কারণ। আপনি যা বোঝাতে চাচ্ছেন, ঠিক যদি তার বিপরীতটি বোঝান তাহলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। ভুল বোঝাবুঝি যেমন হবে তেমনি তাতে আপনার মনে বাজে মনোভাব জন্মাবে। আর তাতে আপনার ভালোবাসা হারিয়ে যাবে।
কথা লুকিয়ে রাখা: আপনি যখন প্রিয়জনের কাছ থেকে কথা কিংবা যে কোনো কিছু লুকাবেন, তখন মনে হবে আপনার জীবনে তার গুরুত্ব নেই। এভাবে চলে আসে দূরত্ব। এর এই দূরত্ব থেকেই সম্পর্কে ভাঙন।
কাজ ও ক্লান্তির সময়ে কথায় লাগাম: আপনি নানা কারণেই ক্লান্ত থাকতে পারেন। কখনো তা কাজের চাপ আবার কখনো ব্যক্তিগত কারণে। তাই বলে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা না বলার বা কম বলার বাহানা খুঁজতে পারেন না। আপনার এই বাহানা প্রথম দিকে মানুষটি হয়তো খুব মারাত্মক আকারে নেবে। এরপরেই শুরু হবে সমস্যা। সে আপনাকে তার জন্য সময় বের করতে বলতে গিয়েও বলতে পারবে না। সময় কাটাতে খুঁজবে আরেক সঙ্গী। অন্যদিকে আপনি যখন কাজ করবেন তখন শুধুই কাজ করুন। কাজ আর ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা একই সঙ্গে করতে যাবেন না। ফলে যা হবে তা হচ্ছে আপনি না পারবেন কাজের দিকে মন দিতে না পারবেন তার দিকে। আর সম্পর্কের মাঝে সৃষ্টি হবে দূরত্ব।
তার সম্পর্কে অভিযোগ: কোনো মানুষই তার জায়গা থেকে একদম নিপুণ হয় না। আপনার কাছে আপনার ভালোবাসার মানুষটির যে কোনো কিছুই খারাপ লাগতে পারে। তবে আপনি তা তার বন্ধুদের সঙ্গে সেসব কথা ভাগাভাগি করতে যাবেন না। তাদের কাছে এর সমাধান চাইতে পারেন না। আপনার উচিত এ বিষয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। সম্পর্কের মাঝে কাউকে আসার সুযোগ করে না দেওয়া। এতে সম্পর্ক ভাঙে কম এর তার স্থায়িত্ব হয় বেশি।