ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ১১:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয়, জ্বালানী ও দ্রব্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যখন পেয়াজের দাম বাড়ে তখন শুনি শেখ হাসিনা পেয়াজ খান না। আবার কোন সময় বলেন বেগুনী খাওয়ার কি দরকার কুমড়া দিয়ে কুমড়ানী খেলেইতো হয়। যখন দাম বেড়ে যায় তখন কিছু কিছু তত্ত্ব সামনে নিয়ে ফতোয়া দেন। ২০০৯ সালে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে ডিজেল ও ফার্নেল ওয়েলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়।
পত্রিকার বরাত দিয়ে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ না কিনেই সরকারের খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। ১২টি কোম্পানির পেটে ঢুকে আছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। অবাক করার বিষয় হলো, যাদেরকে এই কন্ট্রাক্টগুলো দেওয়া হয়েছে তারা হলেন বর্তমান সরকারের কাছের লোকজন। জ্বালানী খাতে সরকারের ‘বিতর্কিত দায়মুক্তি’ আইন সম্পর্কে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যারা জনগণের ভোগান্তি বৃদ্ধি করেছে তাদের যেন কোন দায় না দেওয়া হয় তার জন্য ‘দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ আইন’ ২০১০ সালে পাশ করা হয়। সেই দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি আইন অনুযায়ী আজকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুর্ভোগের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত চারবার সংশোধন করা ইনডেনিটি আইন ২০২৬ পর্যন্ত চালু থাকবে। মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজকে ইতিহাসের চরম ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এমন বিপর্যয় আর কখনো দেখা যায় নি। স্বাধীনতা বিদ্যুৎখাতের বিপর্যয় একদিনে ঘটেনি। দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতির ইফ্যাক্ট এই বিপর্যয়। তার ফলেই উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
মানববন্ধনের সভাপতি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তিন কোটিরও বেশি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে। চার কোটি মানুষ দরিদ্র সীমা ছুঁই ছুঁই। এমন ক্রান্তিলগ্নে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণের আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকারের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করে এই দুর্ভোগ কমানো। তেলের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর পর আমাদেরকে বলা হয় এটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব। শুরুতে এটি আমরা লক্ষ করলেও পরে এটির আর সমন্বয় দেওয়া যায়নি। গতকালও তেলের দাম কমেছে, কিন্তু আমাদের কমেনি। এসব দুর্ভোগ কমাতে হবে। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান কাইয়ুম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামসহ সাদা দলের অন্তত ২০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১১:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয়, জ্বালানী ও দ্রব্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যখন পেয়াজের দাম বাড়ে তখন শুনি শেখ হাসিনা পেয়াজ খান না। আবার কোন সময় বলেন বেগুনী খাওয়ার কি দরকার কুমড়া দিয়ে কুমড়ানী খেলেইতো হয়। যখন দাম বেড়ে যায় তখন কিছু কিছু তত্ত্ব সামনে নিয়ে ফতোয়া দেন। ২০০৯ সালে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে ডিজেল ও ফার্নেল ওয়েলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়।
পত্রিকার বরাত দিয়ে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ না কিনেই সরকারের খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। ১২টি কোম্পানির পেটে ঢুকে আছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। অবাক করার বিষয় হলো, যাদেরকে এই কন্ট্রাক্টগুলো দেওয়া হয়েছে তারা হলেন বর্তমান সরকারের কাছের লোকজন। জ্বালানী খাতে সরকারের ‘বিতর্কিত দায়মুক্তি’ আইন সম্পর্কে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যারা জনগণের ভোগান্তি বৃদ্ধি করেছে তাদের যেন কোন দায় না দেওয়া হয় তার জন্য ‘দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ আইন’ ২০১০ সালে পাশ করা হয়। সেই দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি আইন অনুযায়ী আজকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুর্ভোগের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত চারবার সংশোধন করা ইনডেনিটি আইন ২০২৬ পর্যন্ত চালু থাকবে। মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজকে ইতিহাসের চরম ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এমন বিপর্যয় আর কখনো দেখা যায় নি। স্বাধীনতা বিদ্যুৎখাতের বিপর্যয় একদিনে ঘটেনি। দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতির ইফ্যাক্ট এই বিপর্যয়। তার ফলেই উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
মানববন্ধনের সভাপতি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তিন কোটিরও বেশি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে। চার কোটি মানুষ দরিদ্র সীমা ছুঁই ছুঁই। এমন ক্রান্তিলগ্নে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণের আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকারের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করে এই দুর্ভোগ কমানো। তেলের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর পর আমাদেরকে বলা হয় এটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব। শুরুতে এটি আমরা লক্ষ করলেও পরে এটির আর সমন্বয় দেওয়া যায়নি। গতকালও তেলের দাম কমেছে, কিন্তু আমাদের কমেনি। এসব দুর্ভোগ কমাতে হবে। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান কাইয়ুম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামসহ সাদা দলের অন্তত ২০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।