ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করলেই যেতে হবে শ্রীঘরে: রিজভী

  • আপডেট সময় : ১০:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এ সরকারের আমলে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটি নির্বাসনে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে পেঁয়াজ-মরিচ-চাল-ডাল-তেলের দাম বাড়লে এ সরকারের কী যায় আসে? বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বললে, প্রতিবাদ করলেই যেতে হবে শ্রীঘরে।
তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাট চলছে। আর সেই লুটপাটের অর্থে বিশ্বের উন্নত দেশে বাড়ি-ঘর বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশের নি¤œ-মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচলো না মরলো, তাতে তো এ সরকারের কিছু যায় আসে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক লাফে সাত টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এক লাফে তেলের দাম কেজিতে সাত টাকা বাড়া অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এ দেশে সেটা সম্ভব, কে এর প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করলে তো আপনাকে যেতে হবে শ্রীঘর অথবা লাল ঘরে। ‘প্রতিবাদ’ বলে যে শব্দটি গণতন্ত্রে স্বীকৃত, সে শব্দটিকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। এটাই হলো বাস্তবতা।
পূজাম-পে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নোয়াখালী-কুমিল্লার পূজাম-পের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে, সবাই কিন্তু যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোক। রংপুরের পীরগঞ্জে যে ছেলেটির নাম এলো, তাকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে থাকলে আর শেখ হাসিনার মত প্রধানমন্ত্রী থাকলে এগুলো অসম্ভব ব্যাপার না।
তিনি আরও বলেন, আজকে এ ধরনের মিথ্যাচার অন্ধকার নেমেছে বাংলাদেশে। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশে চালের দাম, সয়াবিন তেলের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এমনকি সুপেয় পানির দামও বাড়ছে। এসব নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ, তাই জনদৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই কুমিল্লা-নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক হামলা ও পূজাম-বে হামলা চালানো হয়েছে। সরকার চায়, সবাই এখন কুমিল্লা-নোয়াখালীর দিকে তাকাক, ওইদিকে দৃষ্টি দিক। কেউ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা না বলুক। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কৌশল।
রিজভী বলেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে এ দেশে আমরা বাস করছি। আমাকে অনেকেই বলছে, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আইডি কার্ড চাচ্ছে, ব্যবসায়িক লাইসেন্সসহ অন্যান্য সার্টিফিকেট চাচ্ছে। এটার কারণ, বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব করে আপনাদের কোনো লাভ হবে না। যারা অত্যাচারী, মানুষের ওপর নির্মমতা দেখায়, তারা ইতিহাসে টিকেনি। তারা জনগণের শত্রু, তাদের পতন হবেই এবং সত্যর জয় হবেই।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ অঙ্গসংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করলেই যেতে হবে শ্রীঘরে: রিজভী

আপডেট সময় : ১০:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এ সরকারের আমলে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটি নির্বাসনে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে পেঁয়াজ-মরিচ-চাল-ডাল-তেলের দাম বাড়লে এ সরকারের কী যায় আসে? বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বললে, প্রতিবাদ করলেই যেতে হবে শ্রীঘরে।
তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাট চলছে। আর সেই লুটপাটের অর্থে বিশ্বের উন্নত দেশে বাড়ি-ঘর বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশের নি¤œ-মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচলো না মরলো, তাতে তো এ সরকারের কিছু যায় আসে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক লাফে সাত টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এক লাফে তেলের দাম কেজিতে সাত টাকা বাড়া অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এ দেশে সেটা সম্ভব, কে এর প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করলে তো আপনাকে যেতে হবে শ্রীঘর অথবা লাল ঘরে। ‘প্রতিবাদ’ বলে যে শব্দটি গণতন্ত্রে স্বীকৃত, সে শব্দটিকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। এটাই হলো বাস্তবতা।
পূজাম-পে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নোয়াখালী-কুমিল্লার পূজাম-পের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে, সবাই কিন্তু যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোক। রংপুরের পীরগঞ্জে যে ছেলেটির নাম এলো, তাকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে থাকলে আর শেখ হাসিনার মত প্রধানমন্ত্রী থাকলে এগুলো অসম্ভব ব্যাপার না।
তিনি আরও বলেন, আজকে এ ধরনের মিথ্যাচার অন্ধকার নেমেছে বাংলাদেশে। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশে চালের দাম, সয়াবিন তেলের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এমনকি সুপেয় পানির দামও বাড়ছে। এসব নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ, তাই জনদৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই কুমিল্লা-নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক হামলা ও পূজাম-বে হামলা চালানো হয়েছে। সরকার চায়, সবাই এখন কুমিল্লা-নোয়াখালীর দিকে তাকাক, ওইদিকে দৃষ্টি দিক। কেউ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা না বলুক। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কৌশল।
রিজভী বলেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে এ দেশে আমরা বাস করছি। আমাকে অনেকেই বলছে, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আইডি কার্ড চাচ্ছে, ব্যবসায়িক লাইসেন্সসহ অন্যান্য সার্টিফিকেট চাচ্ছে। এটার কারণ, বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব করে আপনাদের কোনো লাভ হবে না। যারা অত্যাচারী, মানুষের ওপর নির্মমতা দেখায়, তারা ইতিহাসে টিকেনি। তারা জনগণের শত্রু, তাদের পতন হবেই এবং সত্যর জয় হবেই।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ অঙ্গসংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।