নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতিতে বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষ। বাজারে এখন শীতের সবজি ভরপুর, অথচ দাম মধ্যবিত্ত বা নি¤œ আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় চাল-ডাল-তেল-মুরগিসহ প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামই চড়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেট এবং হাতিরপুল বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫, টমেটো ৬০-৭০, শিম ৫০, গোল বেগুন ৫০-৬০, লম্বা বেগুন ৪০, গাজর ৫০, মূলা ৪০, লাউ ৬০ এবং শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে আরেক দফা। কোম্পানিভেদে এক লিটার সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দুই লিটার ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, সোনালী ৩০০ এবং লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়া প্রসঙ্গে হাতিরপুল প্রোটিন হাউজের মিজান বলেন, এখন মুরগির অনেক চাহিদা। পিকনিক, বিয়ে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মুরগি লাগে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি।
দেশি পুরানো পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বার্মা পেঁয়াজ ৪০ এবং ভারতের পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা। আদা ৮০ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ১৬০ টাকা। নতুন আলু ৩০ টাকা এবং পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দামে। তবে ডিমের দাম একটু কমেছে। বর্তমানে ডজন ১০০ টাকা থেকে কমে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসুরি ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মশলার দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানালেন সাথী মশলা ভা-ার নিউ মার্কেটের দোকানি মো. সুমন।
আরেক ব্যবসায়ী আলী আজগর জানান, সব চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৭০, আটাশ চাল ৪৫ থেকে ৫০ এবং বিআর২৯ চাল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারের অবস্থাও খারাপ। সব ধরনের মাছের কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। বড় রুই কেজি ৩০০ টাকা, মাঝারি ২৫০ থেকে ২৭০, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০, শোল ৫০০, শিং ২৮০, পাবদা ২৬০, বড় চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০, মাঝারি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা। তবে মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে।
দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি বিপাকে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ