নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ ও ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকার সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি (রোববার)। ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।
আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।
আজ থেকে ইসিতে আপিল করতে পারবেন প্রার্থীরা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন। এজন্য ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে। ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। তিনি আরো জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ করে আপিল শুনানি হবে ক্রমানুসারে। আপিল আবেদনগুলো শুনানি শেষে আপিলের ফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আপিলের রায়ের অনুলিপি শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে, রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির আবেদনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে।
ঢাকার ২০ আসনে এক তৃতীয়াংশ মনোনয়নপত্র বাতিল: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনে জমা পড়া ২৩৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৫৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকায় গড়মিল, প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ৭৮টি মনোনয়নপত্র। অর্থাৎ, এক তৃতীয়াংশ মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়ে গেছে। ঢাকা ৪ থেকে ১৮ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম জানান, মহানগরের এ ১৫টি আসনে মোট ১৮৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১২৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে, বাতিল হয়েছে ৬৪টি। এর মধ্যে ১৫টি মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপির কারণে, ২৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনের নথিতে গড়মিলের কারণে এবং ২০টি মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র না দেওয়ায়। ঢাকা ১ থেকে ৩ ও ১৯ থেকে ২০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান জানান, এ পাঁচ আসনে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। আর বাতিল হয়েছে ১৪টি মনোনয়নপত্র। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বা মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ পাবেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। সেখানে ৩০০ আসনে ৩০ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ২৭১৩ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়।
ঢাকা-১, ২, ৩: সালমান, সালমাসহ ১৫ প্রার্থী বৈধ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগরের বাইরে ঢাকা-১, ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তিনজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবারো মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ঢাকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোববার থেকে এসব আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। সোমবার সকাল থেকে বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এসব আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। এ তিন আসনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের সবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েছে।
ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ): এ আসনের নয়জন প্রাথীর মধ্যে মুক্তিজোটের আব্দুর রহিম ও ন্যাশনাল পিপলস পাটির আব্দুল হাকিমের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে যথাযথ নথিপত্র জমা না দেওয়ার কারণে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান এবং জাতীয় পাটির সালমা ইসলামসহ বাকি ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং করামকর্তা। বাকি পাঁচজন হলেন: বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সামসুজ্জামান চৌধুরী, গণফ্রন্টের শেখ মো: আলী, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির মো. করম আলী, তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খান ও জাকের পার্টির মো. লুৎফর রহমান খান।
ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ ও সাভারের কিছু অংশ এবং ঢাকা দিক্ষণ সিটির কয়েকটি ওয়ার্ড মিলিয়ে): এ আসনের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাকিল আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কামরুল ইসলাম গত তিন মেয়াদ ধরে এ আসনের এমপি। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আশরাফ আলী জিহাদীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা এবং আয়কর রিটার্নের প্রত্যায়িত অনুলিপি না দেওয়ায়। জাকের পার্টির পার্থী আবুল কালামের আয়কর রিটার্নের প্রত্যায়িত কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ): এ আসনের নয় প্রার্থীর মধ্যে ছয় প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা হলেন- এ আসনে গত তিনবারের এমপি আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাফর, জাকের পার্টির আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির কুদ্দুস মোহাম্মদ মনির সরকার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুস সালাম এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. রমজান। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জাল হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী রেজার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র না থাকায় বাতিল হয়েছে তরীকত ফেডারেশনের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার মনোনয়নপত্র। আর ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া এবং ঋণ খেলাপি হওয়ায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা-১৭: আরাফাত, জিএম কাদের ও সালমা ইসলামসহ ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে মোট ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ঋণ খেলাপি, ব্যক্তিগত ও আয়করে তথ্যের গরমিল এবং এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় বাকি দুইজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম জানান রিটার্নিং অফিসার সাবিরুল ইসলাম। এই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. আইনুল হক, জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির কাজী শফিউল বাশার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. গোলাম ফারুক মজনু, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নাজমুন নাহার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) শাহ আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আখলাকূর রহমান বাতিল এবং দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ খান ও আরাফাত আশওয়াত ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রের মাসুদ খানের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) শাহ আলমের প্রস্তাবক এবং সমর্থনকারী দুজনের স্বাক্ষরের গড়মিল থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
ঢাকা-১৪ ও ১৫: নিখিল, কামাল মজুমদারসহ বৈধ প্রার্থী ১৮ জন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে; বাতিল হয়েছে আটজনের মনোনয়নপত্র। সোমবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম। এই আরো যাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন-বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. আবু হানিফ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মো. মাহমুব মোড়ল, জাতীয় পার্টি (জেপি) শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন, জাতীয় পার্টির মো. আলমাস উদ্দিন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন-মুক্তিজোটের মো. আসিফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, জেড আই রাসেল, কাজী ফরিদুল হক, মোহাম্মদ এমরুল কায়েস খান ও মো. লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের খাজা মাঈন উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজমুল ইসলাম। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভোটারদের তথ্য ভুল দিয়েছেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম। “কেউ কেউ ফরমের ২০ ও ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করেননি আর খাজা মাঈন উদ্দিন আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র দাখিল করেননি,” বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে যাচাই-বাছাই শেষে তার (সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) মনোনয়নটি বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। এ সময় ব্যারিস্টার সুমন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুভূতি প্রকাশকালে ব্যারিস্টার সুমন সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জাপার রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বৈধ: পাওনা কর পরিশোধ করায় পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নৌকার শাম্মীর মনোনয়নপত্র বাতিল, টিকে গেলেন পংকজ ও সাদিক আব্দুল্লাহ: দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে একই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের এক আসনে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৭ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিভাগীয় কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ যাচাই-বাছাই শেষে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মিটল দাশগুপ্ত, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার, কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নূরুল হুসাইন, জাতীয় পার্টির সানজীদ রশীদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম।