প্রত্যাশা ডেস্ক: চাতালে ধান শুকানোর চিরায়ত চিত্র তুলে ধরে দোহা ফটোগ্রাফি পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহান।
গত ৫ নভেম্বর তার হাতে সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন কাতারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আব্দুলরহমান বিন হামাদ বিন জসিম বিন হামাদ আল থানি। ধান শুকানোর ছবিটি রোহান তুলেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি চাতালে। ‘ট্র্যাডিশনাল রাইস প্রসেস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের ছবিটি ‘কালারস’ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে; যার অর্থমূল্য ৭৫ হাজার কাতারি রিয়াল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এ ছবির মাধ্যমে কেবল শ্রমিকদের রোজকার জীবন নয়, বরং বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্য তুলে ধরেন রোহান।
পুরস্কারের বিষয়ে এ আলোকচিত্রী বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের শিকড় গভীরভাবে মিশে আছে। এই মিশ্রণ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে দেশের চাতালগুলোর শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনে। এরকম একটি ছবি বিশ্বের এমন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার অর্জন করায় আমি খুবই আনন্দিত।
এবারের আসরে পাঁচ হাজার ২০৬ জন আলোকচিত্রী জমা দিয়েছিলেন ৩১ হাজার ৬৮১টি ছবি। রোহানের জয় পাওয়া ‘কালার’ বিভাগে প্রথম হয়েছেন কাতারের শেইমা আলমিউতুয়া এবং বাহরাইনের আলি আল-কামিশ দ্বিতীয় হয়েছেন।
আলোকচিত্রী রোহাননের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়; রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করার পরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যে। আলোকচিত্র সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেন নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফিতে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হয়েছেন।
রোহান এ পর্যন্ত তিনি ফটোগ্রাফির সাত শতাধিক পুরস্কার জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে—ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ট্রাভেল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার (২০১৭ ও ২০১৮), সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস, লেন্সকালচার-ম্যাগনাম ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস, সারজাহ এক্সপোজার ইন্টারন্যাশনাল, প্রি দে লা ফটোগ্রাফি, পিএক্সথ্রি। এ পর্যন্ত ৪৫টি দেশে তার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।
সানা/আপ্র/১১/১১/২০২৫























