ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

দৈনিক হাঁটায় কমতে পারে অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি

  • আপডেট সময় : ১০:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলা হয় দৈনিক ১০ হাজার পদক্ষেপ সুস্থ রাখার পাশাপাশি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যারা অলস জীবনযাপন করেন তাদের ক্ষেত্রেও উপকারী প্রভাব রাখে হাঁটার অভ্যাস। অস্ট্রেলিয়ার ‘দি ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি’র পরিচালিত ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত এই পর্যবেক্ষণ-মূলক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়- প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটার মাধ্যমের হৃদসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমতে পারে ২১ শতাংশ। গবেষণার প্রধান ডা. ম্যাথিউ আহমাদি’র দেওয়া সংবাদ বিবৃতির অনুসারে সিএনএন ডটকম’ জানায়, যারা অতিরিক্ত অলস জীবন যাপন করেন তাদের জন্যে এটা হতে পারে মুক্তির পন্থা। আহমাদি বলেন, “এটা জানা জরুরি যে, সব ধরনের নড়াচড়াই গুরুত্বপূর্ণ। আর অলস সময়টা কাজে লাগাতে প্রতিদিন হাঁটার পরিমাণ বাড়ানো উচিত সকলের।”
পর্যবেক্ষণের জন্য ১০ বছর ধরে করা ‘ইউকে বায়োব্যাংক স্টাডি’ থেকে ৪০ থেকে ৬৯ বয়সি পাঁচ লক্ষ ব্যক্তির মধ্য থেকে ৭২ হাজার মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয় ১০ বছর ধরে। তথ্য সংগ্রহের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কব্জিতে ‘অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার্স’ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটার মাধ্যমে তাদের দৈনিক পদক্ষেপ ও অলস সময় কাটানোর (বসে বা শুয়ে থাকা) পরিমাণের হিসাব নেওয়া। দেখা গেছে প্রতিদিন অলস সময় কাটানোর পরিমাণ ১০.৬ ঘণ্টা। সেই হিসেবে গবেষকরা ১০.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অলস সময়কে ‘উচ্চ মাত্রায় বসে থাকার সময়’ হিসেবে ধরে নেয়। এরচেয়ে কম মানে ‘স্বল্প মাত্রার অলস সময়’ কাটানো হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর খবরের তথ্য নিয়ে গড়ে সাত বছর ধরে গবেষকরা তাদের অনুসরণ। দেখা গেছে উচ্চ ও স্বল্প মাত্রার অলস জীবন কাটানোর পরও যারা দৈনিক অন্তত ২ হাজার ২শ’ পদক্ষেপ হেঁটেছেন তাদের মাঝে হৃদরোগ ও অকাল মৃত্যুর পরিমাণ কম। বেশি উপকার এসেছে ৯ থেকে ১০ পদক্ষেপ হাঁটার মাধ্যমে। এই বিষয়ে মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ট্রু হেল্থ ইনিশিয়েটিভ’য়ের প্রতিষ্ঠাত ও প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড লাইফস্টাইল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড কাটজ সিএনএন’কে বলেন, “যারা বেশি হাঁটে তারা কম বসে থাকে। যারা বেশি বসে থাকে, তারা হাঁটে কম। আর যারা হাঁটে কম তাদের জন্য বিষয়টা ক্ষতিকর। ডেনভার’য়ে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল জুইশ হেল্থ’য়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান মন্তব্য করেন, হাঁটা হল সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। এর মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানো যায়, স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখার সম্ভব হয়, আর হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে।”
তিনি বলেন, “আর যে কোনো ধরনের ব্যায়াম রক্তচাপ সমন্বয় করতে সাহায্য করে। “মানুষের শরীর প্রচুর নড়াচড়া করার মতো করেই নকশা করা। ১২ ঘণ্টা কম্পিউটারে সামনে বসে থাকা আর কম নড়াচড়া করার জন্য নয়”- বলেন ফ্রিম্যান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

দৈনিক হাঁটায় কমতে পারে অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১০:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলা হয় দৈনিক ১০ হাজার পদক্ষেপ সুস্থ রাখার পাশাপাশি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যারা অলস জীবনযাপন করেন তাদের ক্ষেত্রেও উপকারী প্রভাব রাখে হাঁটার অভ্যাস। অস্ট্রেলিয়ার ‘দি ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি’র পরিচালিত ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত এই পর্যবেক্ষণ-মূলক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়- প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটার মাধ্যমের হৃদসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমতে পারে ২১ শতাংশ। গবেষণার প্রধান ডা. ম্যাথিউ আহমাদি’র দেওয়া সংবাদ বিবৃতির অনুসারে সিএনএন ডটকম’ জানায়, যারা অতিরিক্ত অলস জীবন যাপন করেন তাদের জন্যে এটা হতে পারে মুক্তির পন্থা। আহমাদি বলেন, “এটা জানা জরুরি যে, সব ধরনের নড়াচড়াই গুরুত্বপূর্ণ। আর অলস সময়টা কাজে লাগাতে প্রতিদিন হাঁটার পরিমাণ বাড়ানো উচিত সকলের।”
পর্যবেক্ষণের জন্য ১০ বছর ধরে করা ‘ইউকে বায়োব্যাংক স্টাডি’ থেকে ৪০ থেকে ৬৯ বয়সি পাঁচ লক্ষ ব্যক্তির মধ্য থেকে ৭২ হাজার মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয় ১০ বছর ধরে। তথ্য সংগ্রহের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কব্জিতে ‘অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার্স’ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটার মাধ্যমে তাদের দৈনিক পদক্ষেপ ও অলস সময় কাটানোর (বসে বা শুয়ে থাকা) পরিমাণের হিসাব নেওয়া। দেখা গেছে প্রতিদিন অলস সময় কাটানোর পরিমাণ ১০.৬ ঘণ্টা। সেই হিসেবে গবেষকরা ১০.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অলস সময়কে ‘উচ্চ মাত্রায় বসে থাকার সময়’ হিসেবে ধরে নেয়। এরচেয়ে কম মানে ‘স্বল্প মাত্রার অলস সময়’ কাটানো হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর খবরের তথ্য নিয়ে গড়ে সাত বছর ধরে গবেষকরা তাদের অনুসরণ। দেখা গেছে উচ্চ ও স্বল্প মাত্রার অলস জীবন কাটানোর পরও যারা দৈনিক অন্তত ২ হাজার ২শ’ পদক্ষেপ হেঁটেছেন তাদের মাঝে হৃদরোগ ও অকাল মৃত্যুর পরিমাণ কম। বেশি উপকার এসেছে ৯ থেকে ১০ পদক্ষেপ হাঁটার মাধ্যমে। এই বিষয়ে মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ট্রু হেল্থ ইনিশিয়েটিভ’য়ের প্রতিষ্ঠাত ও প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড লাইফস্টাইল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড কাটজ সিএনএন’কে বলেন, “যারা বেশি হাঁটে তারা কম বসে থাকে। যারা বেশি বসে থাকে, তারা হাঁটে কম। আর যারা হাঁটে কম তাদের জন্য বিষয়টা ক্ষতিকর। ডেনভার’য়ে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল জুইশ হেল্থ’য়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান মন্তব্য করেন, হাঁটা হল সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। এর মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানো যায়, স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখার সম্ভব হয়, আর হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে।”
তিনি বলেন, “আর যে কোনো ধরনের ব্যায়াম রক্তচাপ সমন্বয় করতে সাহায্য করে। “মানুষের শরীর প্রচুর নড়াচড়া করার মতো করেই নকশা করা। ১২ ঘণ্টা কম্পিউটারে সামনে বসে থাকা আর কম নড়াচড়া করার জন্য নয়”- বলেন ফ্রিম্যান।