ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড, সিডনিতে লকডাউন কার্যকরে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা

  • আপডেট সময় : ১২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :একদিনে রেকর্ড ২৩৯ নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের পর অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনির কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ না মানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দিয়েছে।
গত বছর মহামারী শুরুর পর নিউ সাউথ ওয়েলসের এ রাজধানী আর কখনোই বৃহস্পতিবারের মতো একদিনে এত রোগী পায়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংক্রমণ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সিডনির ৮টি ভাইরাস ‘হটস্পটের’ ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এখন থেকে চার দেয়ালের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, থাকতে হবে বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি থামাতে শহরটিতে জুনের শেষ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের পঞ্চম সপ্তাহ চললেও অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মেয়াদ কয়েকদফা বাড়িয়ে সেখানে টানা ৯ সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে; ২৮ অগাস্ট এ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা।
“অল্প কয়েকজন, মোট বাসিন্দার ক্ষুদ্র একটি অংশ অন্যায় করছে, যে কারণে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আর পিছিয়ে পড়তে পারিনা,” সিডনিতে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গে¬ডিস বেরেজিক্লিয়ান।
নিউ সাউথ ওয়েলস এর আগে বুধবার নতুন ১৭৭ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি, তার এক পঞ্চমাংশেরই বাস সিডনিতে। চলতি বছরের সবচেয়ে বাজে প্রাদুর্ভাবে হিমশিম খাওয়া শহরটির কর্তৃপক্ষ বুধবার লকডাউনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়াতে বাধ্য হয়।
এবারের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত শহরটিতে দুই হাজার ৮০০র বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, এদের মধ্যে ১৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখনও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছে ৫৪ জন, যার ২২ জনেরই ভেন্টিলেশন লাগছে।
নতুন দুই মৃত্যু নিয়ে সিডনিতে এবারের প্রাদুর্ভাবে করোনাভাইরাসে মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৩-তে।
নিউ সাউথ ওয়েলস এ পর্যন্ত রাজ্যের ১৬ বছরের বেশি বয়সী বাসিন্দাদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশের টিকাদান শেষ করতে পেরেছে।
টিকাদানে শ্লথগতির পাশাপাশি সিডনি ও এর আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়েও দেশটির নীতিনির্ধারকরা উদ্বিগ্ন।
দেশটির ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি খানিকটা সঙ্কুচিত হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
তবে নিউ সাউথ ওয়েলস যদি দ্রুত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে মন্দা এড়ানো যেতে পারে, বলেছেন তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড, সিডনিতে লকডাউন কার্যকরে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা

আপডেট সময় : ১২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :একদিনে রেকর্ড ২৩৯ নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের পর অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনির কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ না মানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দিয়েছে।
গত বছর মহামারী শুরুর পর নিউ সাউথ ওয়েলসের এ রাজধানী আর কখনোই বৃহস্পতিবারের মতো একদিনে এত রোগী পায়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংক্রমণ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সিডনির ৮টি ভাইরাস ‘হটস্পটের’ ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এখন থেকে চার দেয়ালের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, থাকতে হবে বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি থামাতে শহরটিতে জুনের শেষ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের পঞ্চম সপ্তাহ চললেও অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মেয়াদ কয়েকদফা বাড়িয়ে সেখানে টানা ৯ সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে; ২৮ অগাস্ট এ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা।
“অল্প কয়েকজন, মোট বাসিন্দার ক্ষুদ্র একটি অংশ অন্যায় করছে, যে কারণে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আর পিছিয়ে পড়তে পারিনা,” সিডনিতে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গে¬ডিস বেরেজিক্লিয়ান।
নিউ সাউথ ওয়েলস এর আগে বুধবার নতুন ১৭৭ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি, তার এক পঞ্চমাংশেরই বাস সিডনিতে। চলতি বছরের সবচেয়ে বাজে প্রাদুর্ভাবে হিমশিম খাওয়া শহরটির কর্তৃপক্ষ বুধবার লকডাউনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়াতে বাধ্য হয়।
এবারের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত শহরটিতে দুই হাজার ৮০০র বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, এদের মধ্যে ১৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখনও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছে ৫৪ জন, যার ২২ জনেরই ভেন্টিলেশন লাগছে।
নতুন দুই মৃত্যু নিয়ে সিডনিতে এবারের প্রাদুর্ভাবে করোনাভাইরাসে মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৩-তে।
নিউ সাউথ ওয়েলস এ পর্যন্ত রাজ্যের ১৬ বছরের বেশি বয়সী বাসিন্দাদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশের টিকাদান শেষ করতে পেরেছে।
টিকাদানে শ্লথগতির পাশাপাশি সিডনি ও এর আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়েও দেশটির নীতিনির্ধারকরা উদ্বিগ্ন।
দেশটির ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি খানিকটা সঙ্কুচিত হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
তবে নিউ সাউথ ওয়েলস যদি দ্রুত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে মন্দা এড়ানো যেতে পারে, বলেছেন তিনি।