ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড, অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রেকর্ড কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের দিনই অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
দেশটিতে গতকাল শনিবার নতুন ৮৯৪ রোগী মিলেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মহামারীতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কখনোই একদিনে এতজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার বিস্তারে হিমশিম খাওয়া সিডনিতে এদিনও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টানা দুই মাসের বেশি লকডাউন চললেও ৫০ লাখের বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহরটি এখনও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। মেলবোর্নে পুলিশ তাদের দিকে তেড়ে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে ছুড়েছে, সিডনিতে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছোট ছোট জমায়েতকে একত্রিত হতে বাধা দিয়েছে।
পুলিশ দুই রাজ্য থেকে আড়াইশ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৭ পুলিশকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। “নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিস্থিতি গুরুতর; কেবল নিজের কথা ভাবার সময় নয় এখন, এখন ভাবতে হবে বৃহত্তর কমিউনিটি এবং সবার পরিবারের কথা,” বলেছেন রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড।
রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সিডনির টহল পুলিশ ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহনকেও শহরের কেন্দ্রস্থলে যেতে বাধা দিয়েছে, যেন অনুমোদিত নয় এমন বিক্ষোভে খুব বেশি মানুষ অংশ নিতে না পারে। মেলবোর্নে ৪ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে লকডাউনের বিরুদ্ধে তাদের সরব অবস্থান জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়। লকডাউন না থাকলেও ব্রিসবেনের কয়েকশ মানুষও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বেশিরভাগ মানুষ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে বলে জুলাইয়ের শেষ দিকে হওয়া একটি জরিপে দেখা গেছে। ওই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সমর্থন করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৯৭৮ জনে; এই সংখ্যা শিল্পোন্নত অনেক দেশের তুলনায় কম।
এরই মধ্যে ১৬ বা তার বেশি বয়সীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশকেই টিকার সব ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড, অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ১২:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রেকর্ড কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের দিনই অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
দেশটিতে গতকাল শনিবার নতুন ৮৯৪ রোগী মিলেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মহামারীতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কখনোই একদিনে এতজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার বিস্তারে হিমশিম খাওয়া সিডনিতে এদিনও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টানা দুই মাসের বেশি লকডাউন চললেও ৫০ লাখের বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহরটি এখনও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। মেলবোর্নে পুলিশ তাদের দিকে তেড়ে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে ছুড়েছে, সিডনিতে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছোট ছোট জমায়েতকে একত্রিত হতে বাধা দিয়েছে।
পুলিশ দুই রাজ্য থেকে আড়াইশ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৭ পুলিশকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। “নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিস্থিতি গুরুতর; কেবল নিজের কথা ভাবার সময় নয় এখন, এখন ভাবতে হবে বৃহত্তর কমিউনিটি এবং সবার পরিবারের কথা,” বলেছেন রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড।
রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সিডনির টহল পুলিশ ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহনকেও শহরের কেন্দ্রস্থলে যেতে বাধা দিয়েছে, যেন অনুমোদিত নয় এমন বিক্ষোভে খুব বেশি মানুষ অংশ নিতে না পারে। মেলবোর্নে ৪ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে লকডাউনের বিরুদ্ধে তাদের সরব অবস্থান জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়। লকডাউন না থাকলেও ব্রিসবেনের কয়েকশ মানুষও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বেশিরভাগ মানুষ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে বলে জুলাইয়ের শেষ দিকে হওয়া একটি জরিপে দেখা গেছে। ওই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সমর্থন করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৯৭৮ জনে; এই সংখ্যা শিল্পোন্নত অনেক দেশের তুলনায় কম।
এরই মধ্যে ১৬ বা তার বেশি বয়সীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশকেই টিকার সব ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।