প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর কোনে কল্পনা নয়, বরং অনেকের নিত্যদিনের সহচর। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি আমাদের জীবনকে শুধু দ্রুত নয়, আরো সহজ ও গোছানো করে তুলেছে। ঘরের কাজ হোক বা অফিসের দায়িত্ব—প্রায় সব ক্ষেত্রেই এআই সাহায্য করছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে দৈনন্দিন জীবনে এআই কাজে লাগানো যায় সহজভাবে।
১. সময়মতো কাজ মনে করিয়ে দেয়
প্রতিদিনের নানা কাজে অনেক সময় মানুষ কিছু ভুলে যায়। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সিরির মতো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে এখন রিমাইন্ডার দিয়ে রাখা যায়—যেমন সন্ধ্যায় ফোন দেওয়া, ওষুধ খাওয়া কিংবা কোনো মিটিংয়ের সময় মনে করিয়ে দেওয়া।
২. প্রশ্ন করলেই মেলে সঠিক উত্তর
অনেক সময় নানা প্রশ্ন মনে জাগে—স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, রেসিপি বা ভ্রমণ–যেকোনো বিষয়েই। এখন চ্যাটবট বা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রশ্ন করলেই মিলছে সহজ ও সংক্ষিপ্ত উত্তর, যা সময় বাঁচায় এবং সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
৩. ইংরেজি অনুবাদ ও লেখায় সহায়তা
চিঠি, ইমেইল, রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে ইংরেজি ভাষায় সমস্যা হলে এআই এখন দারুণ সহায়। ভুল কমায়, লিখতে সাহায্য করে, এমনকি অনুবাদও করে দিতে পারে সহজে।
৪. ভ্রমণ পরিকল্পনা গুছিয়ে দেয়
ভ্রমণে কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কোন গাড়ি বা ট্রেন ধরবেন—সবকিছুই এখন এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে বললে ঠিক করে দেওয়া যায়। রুট, সময়, টিকিট, এমনকি আবহাওয়ার তথ্যও পাওয়া যায় একসাথে।
৫. খরচের হিসাব রাখে
মাসের খরচ কোথায় বেশি হলো, কোন খাতে কীভাবে খরচ হচ্ছে—এসব জানতে এআইভিত্তিক অ্যাপ এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন। এটা টাকা বাঁচাতে এবং বাজেট ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৬. লেখালেখি ও কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা
ব্লগ, ক্যাপশন বা ফিচার লেখার সময় অনেকেই এখন এআই-এর সাহায্য নিচ্ছেন। বিষয় বাছাই থেকে শুরু করে উপস্থাপনা পর্যন্ত নানা পরামর্শ দিয়ে লেখাকে করে তোলে আরো পরিপূর্ণ।
৭. রুটিন ও কাজের পরিকল্পনায় সাহায্য করে
প্রতিদিনের কাজ গুছিয়ে নিতে, সময় ভাগ করে নিতে কিংবা সপ্তাহের পরিকল্পনা বানাতে এআই অনেক উপকারী। এতে কাজের চাপ কমে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
৮. রেসিপি খুঁজে পাওয়া সহজ
রান্নাঘরে কী উপকরণ আছে তা বলে দিলে এআই বলে দিচ্ছে কী রান্না করা যায়। যেমন ঘরে রুই মাছ আর লেবু পাতা থাকলে, সেই দিয়েই তৈরি করা যায় মজাদার রেসিপি।
এসি/