ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

দেড় মাস পর দৈনিক শনাক্ত রোগী ফের আড়াই হাজারে

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় গত এক দিনে দেশে আরও ২ হাজার ৫৩৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি ২ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৬ জনের। তাতে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ২৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১০টি ল্যাবে ২০ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ০৬ হাজার ৭৯১টি নমুনা। বুধবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৭ জন পুরুষ আর নারী ১৯ জন। তাদের ৩৩ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি,৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ১০ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩১৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৩০ জন নারী।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পর যাত্রী জানতে পারছেন ‘করোনা পজিটিভ’ : বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনলাইনে চেক করে জানতে পারছেন যে, যাত্রী করোনা পজিটিভ। করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় বাহ্যিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হলেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে।
গত এক সপ্তাহে (৩ জুন থেকে ৯ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমপক্ষে ১৬ জন যাত্রীকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তাদের অধিকাংশই সৌদিআরব-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী। যাত্রার প্রাক্কালে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের অনেকেই রিপোর্ট ভুল এসেছে মনে করে তাদের যাত্রা বাতিল না করে সফর করার অনুরোধ জানান। কিন্তু করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকেই বিমানে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইদানিং বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি জানান, যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই সময় স্বল্পতার কারণে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন না। তারা যে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করতে টাকা জমা দিয়েছেন তার রশিদ নাম্বার ও পাসপোর্ট নাম্বার বললে বিমানবন্দর থেকেই অনলাইনে চেক করে ওই যাত্রী করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ তা জানা সম্ভব হয়। এ প্রক্রিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের করোনা ধরা পড়ছে তারা দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা বলে তিনি জানান। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী ছয় থেকে সাতশ জন যাত্রী প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষা করান। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৮ জুন) ৭০৬ জন নমুনা যাত্রী পরীক্ষা করান। করোনাকালে সর্বমোট আট লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ জন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মেডিক্যালে ৮ দিনে ৮০ জনের মৃত্যু : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (০৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার (০৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত আটদিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আটজনের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্য চারজন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। করোনায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি রাজশাহী; একজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর দুইজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন মারা গেছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২২৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। ডা. সাইফুল ফেরদৌস আরও বলেন, গত আটদিনে (১ জুন থেকে ৯ জুন সকাল পর্যন্ত) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। এর মধ্যে ৪৯ জন মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন এবং সর্বশেষ ৯ জুন আটজন মারা যান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেড় মাস পর দৈনিক শনাক্ত রোগী ফের আড়াই হাজারে

আপডেট সময় : ০২:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় গত এক দিনে দেশে আরও ২ হাজার ৫৩৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি ২ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৬ জনের। তাতে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ২৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১০টি ল্যাবে ২০ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ০৬ হাজার ৭৯১টি নমুনা। বুধবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৭ জন পুরুষ আর নারী ১৯ জন। তাদের ৩৩ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি,৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ১০ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩১৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৩০ জন নারী।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পর যাত্রী জানতে পারছেন ‘করোনা পজিটিভ’ : বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনলাইনে চেক করে জানতে পারছেন যে, যাত্রী করোনা পজিটিভ। করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় বাহ্যিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হলেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে।
গত এক সপ্তাহে (৩ জুন থেকে ৯ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমপক্ষে ১৬ জন যাত্রীকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তাদের অধিকাংশই সৌদিআরব-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী। যাত্রার প্রাক্কালে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের অনেকেই রিপোর্ট ভুল এসেছে মনে করে তাদের যাত্রা বাতিল না করে সফর করার অনুরোধ জানান। কিন্তু করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকেই বিমানে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইদানিং বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি জানান, যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই সময় স্বল্পতার কারণে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন না। তারা যে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করতে টাকা জমা দিয়েছেন তার রশিদ নাম্বার ও পাসপোর্ট নাম্বার বললে বিমানবন্দর থেকেই অনলাইনে চেক করে ওই যাত্রী করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ তা জানা সম্ভব হয়। এ প্রক্রিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের করোনা ধরা পড়ছে তারা দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা বলে তিনি জানান। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী ছয় থেকে সাতশ জন যাত্রী প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষা করান। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৮ জুন) ৭০৬ জন নমুনা যাত্রী পরীক্ষা করান। করোনাকালে সর্বমোট আট লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ জন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মেডিক্যালে ৮ দিনে ৮০ জনের মৃত্যু : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (০৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার (০৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত আটদিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আটজনের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্য চারজন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। করোনায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি রাজশাহী; একজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর দুইজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন মারা গেছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২২৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। ডা. সাইফুল ফেরদৌস আরও বলেন, গত আটদিনে (১ জুন থেকে ৯ জুন সকাল পর্যন্ত) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। এর মধ্যে ৪৯ জন মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন এবং সর্বশেষ ৯ জুন আটজন মারা যান।