ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

দেড় মাসের মধ্যে ভারতে সর্বনিম্ন দৈনিক শনাক্ত

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে কম করোনা শনাক্ত হয়েছে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৪৫ দিনের মধ্যে ভারতে একদিনে সর্বনি¤œ করোনা শনাক্তের সংখ্যা এটিই সর্বনি¤œ।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ২৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দৈনিক মৃত্যু কিন্তু কমেনি। শনিবারও তা সাড়ে তিন হাজারের বেশিই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৬১৭ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন লাখ ২২ হাজার ৫১২। বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ কম হওয়াতেই সার্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতি গত এক দেড় মাসের পরিসংখ্যানের নিরিখে। এখনও যে সংখ্যক সক্রিয় রোগী রয়েছেন, যে সংখ্যক লোক রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন, করোনার প্রথম পর্বের সর্বোচ্চ সংখ্যার চেয়ে তা অনেক বেশি। তাই সংক্রমণ, সক্রিয় রোগী কমলেও স্বস্তি দেওয়ার পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের এক-চতুর্থাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। দেশটির এক সরকারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের মে মাসে আক্রান্তদের ২৬ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর।
মে মাসের ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে আক্রান্তদের ২৬ দশমিক ৫৮ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছর। ৮-১৪ মে আক্রান্তদের মধ্যে ১৮-৩০ বছর বয়সীদের হার ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মে মাসের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে তা আরও কিছুটা কমে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই প্রবণতা দেখা গেছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং তৃতীয় সপ্তাহে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এই বয়সসীমাভুক্ত।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেড় মাসের মধ্যে ভারতে সর্বনিম্ন দৈনিক শনাক্ত

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে কম করোনা শনাক্ত হয়েছে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৪৫ দিনের মধ্যে ভারতে একদিনে সর্বনি¤œ করোনা শনাক্তের সংখ্যা এটিই সর্বনি¤œ।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ২৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দৈনিক মৃত্যু কিন্তু কমেনি। শনিবারও তা সাড়ে তিন হাজারের বেশিই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৬১৭ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন লাখ ২২ হাজার ৫১২। বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ কম হওয়াতেই সার্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতি গত এক দেড় মাসের পরিসংখ্যানের নিরিখে। এখনও যে সংখ্যক সক্রিয় রোগী রয়েছেন, যে সংখ্যক লোক রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন, করোনার প্রথম পর্বের সর্বোচ্চ সংখ্যার চেয়ে তা অনেক বেশি। তাই সংক্রমণ, সক্রিয় রোগী কমলেও স্বস্তি দেওয়ার পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের এক-চতুর্থাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। দেশটির এক সরকারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের মে মাসে আক্রান্তদের ২৬ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর।
মে মাসের ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে আক্রান্তদের ২৬ দশমিক ৫৮ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছর। ৮-১৪ মে আক্রান্তদের মধ্যে ১৮-৩০ বছর বয়সীদের হার ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মে মাসের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে তা আরও কিছুটা কমে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই প্রবণতা দেখা গেছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং তৃতীয় সপ্তাহে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এই বয়সসীমাভুক্ত।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার।