ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

দেশে ৬ সপ্তাহের সর্বনি¤œ মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী আরও কমেছে, একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে ছয় সপ্তাহের সর্বনি¤œ পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এর আগে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ১২ জানুয়ারি, সেদিন চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু বেড়ে চলছিল।
গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৫৯৫ জনের কোভিড শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। সে হিসাবে এক দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে। এর আগে এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল ৮ জানুয়ারি, সেদিন ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৭২ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
বাংলাদেশে মহামারীর শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৮৩১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি। যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ থেকে বছরের মধ্যে এবং দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫০ লাখ আট হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখের বেশি।
বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু : করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আট হাজার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৮ জনের শরীরে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৯০০ জনে। এ সময়ে শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় সাড়ে তিন লাখে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৪ জন।
গতকাল বুধবার সকালে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৫০৭ জন এবং মারা গেছে ৩২৯ জন। ইউরোপের এই দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৬২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে এক লাখ ২২ হাজার ৩৬৯ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছে এক হাজার ৪৫৭ জন। শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৮৭ জন।
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত আট কোটি দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে নয় লাখ ৬৩ হাজার ২২০ জন। সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত। মৃত্যুর দিক থেকে দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছে ২৮১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০২ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে চার কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৬৫১ জন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম অজানা ভাইরাস হিসেবে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর সেটি করোনা বলে শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে ৬ সপ্তাহের সর্বনি¤œ মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী আরও কমেছে, একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে ছয় সপ্তাহের সর্বনি¤œ পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এর আগে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ১২ জানুয়ারি, সেদিন চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু বেড়ে চলছিল।
গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৫৯৫ জনের কোভিড শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। সে হিসাবে এক দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে। এর আগে এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল ৮ জানুয়ারি, সেদিন ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৭২ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
বাংলাদেশে মহামারীর শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৮৩১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি। যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ থেকে বছরের মধ্যে এবং দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫০ লাখ আট হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখের বেশি।
বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু : করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আট হাজার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৮ জনের শরীরে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৯০০ জনে। এ সময়ে শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় সাড়ে তিন লাখে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৪ জন।
গতকাল বুধবার সকালে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৫০৭ জন এবং মারা গেছে ৩২৯ জন। ইউরোপের এই দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৬২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে এক লাখ ২২ হাজার ৩৬৯ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছে এক হাজার ৪৫৭ জন। শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৮৭ জন।
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত আট কোটি দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে নয় লাখ ৬৩ হাজার ২২০ জন। সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত। মৃত্যুর দিক থেকে দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছে ২৮১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০২ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে চার কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৬৫১ জন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম অজানা ভাইরাস হিসেবে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর সেটি করোনা বলে শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।