ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

দেশে ৫১ দিন পর ২৪ ঘণ্টায় ৮২ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৪১

  • আপডেট সময় : ০১:২২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮২ জন, যা ৫২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। সেদিন ৮৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।
এদিকে গত একদিনে মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি করোনা শনাক্তের সংখ্যাও আগেরদিনের চেয়ে বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। গতকাল ছিল ৩ হাজার ৫৭ জন।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৪১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৩৮ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৮.০২। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার বেড়ে ১৩.৪৬ শতাংশ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২১ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৩৮ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪৬৬ জন।
এদিকে গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
খুলনায় রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু : খুলনা বিভাগে একদিন পর আবারও করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে ৭৬৩ জনের শরীরে করোনার শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৯ জুন বিভাগে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়। আর ১৭ জুন বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তবে ১৮ জুন বিভাগে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় সাত জন, খুলনায় দুই জন, বাগেরহাটে দুই জন, সাতক্ষীরায় দুই জন, যশোরে চার জন, নড়াইলে একজন, মাগুরায় একজন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ জন এবং ঝিনাইদহে চার জন মৃত্যুবরণ করেছেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৩২ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২৫ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ হাজার ৩২০ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক তথ্যে জানা যায়, খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২৩ জন। মোট শনাক্ত ১২ হাজার ৮২১ জন। মারা গেছেন ২০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯২ জন। বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৫০ জন। মারা গেছেন ৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ জন। সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৪ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৬ জন।
এছাড়া যশোরে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত ৯ হাজার ৪৮০ জন। মারা গেছেন ১০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৭৪৮ জন। নড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪৪ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ২৭২ জন। মারা গেছেন ৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৭ জন। মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় কোনও শনাক্ত হয়নি। মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৮৫ জন। মারা গেছেন ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২২০ জন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯০ জন। মোট শনাক্ত তিন হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন ৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৮২ জন। কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৬৪ জন। মোট শনাক্ত ছয় হাজার ৩৩৮ জন। মারা গেছেন ১৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৯১ জন। মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩৮ জন। মেহেরপুরে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৩৩ জন। মারা গেছেন ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৫৫ জন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে ৫১ দিন পর ২৪ ঘণ্টায় ৮২ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৪১

আপডেট সময় : ০১:২২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮২ জন, যা ৫২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। সেদিন ৮৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।
এদিকে গত একদিনে মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি করোনা শনাক্তের সংখ্যাও আগেরদিনের চেয়ে বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। গতকাল ছিল ৩ হাজার ৫৭ জন।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৪১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৩৮ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৮.০২। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার বেড়ে ১৩.৪৬ শতাংশ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২১ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৩৮ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪৬৬ জন।
এদিকে গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
খুলনায় রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু : খুলনা বিভাগে একদিন পর আবারও করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে ৭৬৩ জনের শরীরে করোনার শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৯ জুন বিভাগে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়। আর ১৭ জুন বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তবে ১৮ জুন বিভাগে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় সাত জন, খুলনায় দুই জন, বাগেরহাটে দুই জন, সাতক্ষীরায় দুই জন, যশোরে চার জন, নড়াইলে একজন, মাগুরায় একজন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ জন এবং ঝিনাইদহে চার জন মৃত্যুবরণ করেছেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৩২ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২৫ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ হাজার ৩২০ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক তথ্যে জানা যায়, খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২৩ জন। মোট শনাক্ত ১২ হাজার ৮২১ জন। মারা গেছেন ২০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯২ জন। বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৫০ জন। মারা গেছেন ৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ জন। সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৪ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৬ জন।
এছাড়া যশোরে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত ৯ হাজার ৪৮০ জন। মারা গেছেন ১০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৭৪৮ জন। নড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪৪ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ২৭২ জন। মারা গেছেন ৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৭ জন। মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় কোনও শনাক্ত হয়নি। মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৮৫ জন। মারা গেছেন ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২২০ জন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯০ জন। মোট শনাক্ত তিন হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন ৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৮২ জন। কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৬৪ জন। মোট শনাক্ত ছয় হাজার ৩৩৮ জন। মারা গেছেন ১৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৯১ জন। মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩৮ জন। মেহেরপুরে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৩৩ জন। মারা গেছেন ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৫৫ জন।