নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড মহামারীর মধ্যে এক মাস পর মৃত্যু ফিরল বাংলাদেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের বুলেটিনে একজনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তি ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন; তার বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
দেশে এই বছরের শুরুতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসার ধারায় গত ২০ এপ্রিল সর্বশেষ মৃত্যুর খবর এসেছিল। তারপর টানা ৩০ দিন কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর আসার পর আর কখনও টানা এক মাস কোভিডে মৃত্যুহীন থাকেনি বাংলাদেশ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। নতুন একজনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ১২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২০৪ জন। এই সময়ে সেরে উঠেছেন ১৭২ জন। তাতে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৭৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মোট ৩ হাজার ৯২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। একদিন আগে যা ছিল শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত ১৬ জন নতুন রোগীর মধ্যে ৯ জন ঢাকা জেলার। এছাড়া ৬ জন সিলেটের এবং ১ জন ময়মনসিংহের। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ।
দেশে ৩০ দিন পর একজনের মৃত্যু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ