ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে সর্বোচ্চ ২৪৭ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ১৫,১৯২

  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে ২৪৭ জন। এর আগে গত ১৯ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ১৯ হাজার ৫২১ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১৯২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন।
গতকাল সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত এক দিনে সর্বোচ্চ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ৬ হাজার ২৩৩টি। গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, করোনায় নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪১ ও নারী ১০৬ জন। এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৩৭ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের দুইজন। মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৪ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে সর্বোচ্চ ২৪৭ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ১৫,১৯২

আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে ২৪৭ জন। এর আগে গত ১৯ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ১৯ হাজার ৫২১ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১৯২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন।
গতকাল সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত এক দিনে সর্বোচ্চ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ৬ হাজার ২৩৩টি। গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, করোনায় নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪১ ও নারী ১০৬ জন। এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৩৭ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের দুইজন। মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৪ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলবে।