ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দেশে সংক্রমণ-মৃত্যু দুটোই বেড়েছে

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ছয়জন মারা গেছে, শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬৬ রোগী। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটো সংখ্যাই আগের দিনের চেয়ে বেশি। গত মঙ্গলবার ২১৩ রোগী শনাক্ত এবং ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৬৬ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জন। আরও ছয়জনের মৃত্যুতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২৫৭ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২৪ জন। এই তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬। অর্থাৎ জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩৫। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৪টি। সার্বিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭। শনাক্ত অনুযায়ী মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তার ২০৫ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট সংখ্যার ৭৭ শতাংশের বেশি। যে ছয়জন মারা গেছে, তাদের মধ্যে তিনজন সিলেট বিভাগের, ২ জন ঢাকা বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। ৩২টি জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে ৪ জনই নারী, ২ জন পুরুষ। তাদের ৪ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের ৪ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে, ২ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাড়িতে মৃত্যু হয় ১ জনের। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৪৫ লাখের বেশি রোগী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত

দেশে সংক্রমণ-মৃত্যু দুটোই বেড়েছে

আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ছয়জন মারা গেছে, শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬৬ রোগী। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটো সংখ্যাই আগের দিনের চেয়ে বেশি। গত মঙ্গলবার ২১৩ রোগী শনাক্ত এবং ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৬৬ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জন। আরও ছয়জনের মৃত্যুতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২৫৭ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২৪ জন। এই তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬। অর্থাৎ জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩৫। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৪টি। সার্বিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭। শনাক্ত অনুযায়ী মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তার ২০৫ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট সংখ্যার ৭৭ শতাংশের বেশি। যে ছয়জন মারা গেছে, তাদের মধ্যে তিনজন সিলেট বিভাগের, ২ জন ঢাকা বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। ৩২টি জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে ৪ জনই নারী, ২ জন পুরুষ। তাদের ৪ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের ৪ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে, ২ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাড়িতে মৃত্যু হয় ১ জনের। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৪৫ লাখের বেশি রোগী।