ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

দেশে শনাক্তের হারে রেকর্ড, একদিনে ২০ মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারের রেকর্ড হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।অর্থাৎ যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের প্রতি তিনজনে একজনই ছিলেন কোভিড রোগী।এর আগে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল।মহামারীর শুরুতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ যেদিন প্রথম দেশে কোভিড রোগী ধরা পড়ে, সেদিন ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের কোভিড শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় সেটি রেকর্ডে ধরা হয়নি।
এ নিয়ে টানা চার দিন দৈনিক ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হল। মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বুধবার ১৫ হাজার ৫২৭ জন এবং বৃহস্পতিবার ১৫ হাজার ৮০৭ জনের শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময়, গত বছরের ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মহামারীর মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ।নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনে।গত একদিনে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের নিয়ে মোট ২৮ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় এসেছে।
এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ ৯ অক্টোবর, সেদিন ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩২৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৭২ হাজার ১০৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।আগের দিন এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৮ হাজার। গত ২০ জানুয়ারি ছিল ৮০ হাজার ৯২৬ জন। অর্থাৎ, মাত্র এক সপ্তাহে সক্রিয় রোগী বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হয়েছে।
ডেল্টার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে।কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ।জানুয়ারির প্রথম দিনও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল চারশর নিচে, এখন তা ১৫ হাজারের বেশি থাকছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও থাকছে ৩০ শতাংশের উপরে।মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৯ হাজার ২২৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৫৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।আগেরদিনও এ বিভাগে ৯ হাজার ৭৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা ছিল দিনের মোট আক্রান্তের ৬১ শতাংশের বেশি।গত কয়েক মাস ধরেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর একটি বড় অংশ থাকে ঢাকার। তবে গত সপ্তাহখানেক ধরে দেশের অন্যান্য জেলাতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।গত এক দিনে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৮১১৩ জন, ফরিদপুরে ১২০ জন, গাজীপুরে ১৭৭ জন, গোপালগঞ্জে ১১৫ জন, কিশোরগঞ্জে ১০৮ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৭৬ জন এবং নরসিংদীতে ১৫২ জন এবং টাঙ্গাইলে ১০২ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১১৬১ জন, কক্সবাজারে ৩৪২ জন, নোয়াখালীতে ১০০, চাঁদপুরে ১২২ জন এবং কুমিল্লায় ২৪৩ জন; রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ৩৭৮ জন, নওগাঁয় ১২০ জন, পাবনায় ২০৯ জন, বগুড়ায় ১৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।এছাড়া খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় ২৬০ জন, কুষ্টিয়ায় ২১৩ জন; সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ৪৩৫ জন, মৌলভীবাজারে ১১১ জন; বরিশাল জেলায় ১৯৪ জন, রংপুর জেলায় ১১৯ জন, দিনাজপুর জেলায় ১১০ জন এবং ময়মনসিংহে ২৮৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক দিনে। যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের আট জন পুরুষ, ১২ জন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন জন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন একজন।তাদের ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, দুইজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছর এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ২৫ জানুয়ারি তা ১৭ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৬ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে শনাক্তের হারে রেকর্ড, একদিনে ২০ মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারের রেকর্ড হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।অর্থাৎ যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের প্রতি তিনজনে একজনই ছিলেন কোভিড রোগী।এর আগে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল।মহামারীর শুরুতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ যেদিন প্রথম দেশে কোভিড রোগী ধরা পড়ে, সেদিন ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের কোভিড শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় সেটি রেকর্ডে ধরা হয়নি।
এ নিয়ে টানা চার দিন দৈনিক ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হল। মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বুধবার ১৫ হাজার ৫২৭ জন এবং বৃহস্পতিবার ১৫ হাজার ৮০৭ জনের শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময়, গত বছরের ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মহামারীর মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ।নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনে।গত একদিনে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের নিয়ে মোট ২৮ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় এসেছে।
এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ ৯ অক্টোবর, সেদিন ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩২৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৭২ হাজার ১০৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।আগের দিন এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৮ হাজার। গত ২০ জানুয়ারি ছিল ৮০ হাজার ৯২৬ জন। অর্থাৎ, মাত্র এক সপ্তাহে সক্রিয় রোগী বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হয়েছে।
ডেল্টার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে।কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ।জানুয়ারির প্রথম দিনও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল চারশর নিচে, এখন তা ১৫ হাজারের বেশি থাকছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও থাকছে ৩০ শতাংশের উপরে।মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৯ হাজার ২২৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৫৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।আগেরদিনও এ বিভাগে ৯ হাজার ৭৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা ছিল দিনের মোট আক্রান্তের ৬১ শতাংশের বেশি।গত কয়েক মাস ধরেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর একটি বড় অংশ থাকে ঢাকার। তবে গত সপ্তাহখানেক ধরে দেশের অন্যান্য জেলাতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।গত এক দিনে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৮১১৩ জন, ফরিদপুরে ১২০ জন, গাজীপুরে ১৭৭ জন, গোপালগঞ্জে ১১৫ জন, কিশোরগঞ্জে ১০৮ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৭৬ জন এবং নরসিংদীতে ১৫২ জন এবং টাঙ্গাইলে ১০২ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১১৬১ জন, কক্সবাজারে ৩৪২ জন, নোয়াখালীতে ১০০, চাঁদপুরে ১২২ জন এবং কুমিল্লায় ২৪৩ জন; রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ৩৭৮ জন, নওগাঁয় ১২০ জন, পাবনায় ২০৯ জন, বগুড়ায় ১৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।এছাড়া খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় ২৬০ জন, কুষ্টিয়ায় ২১৩ জন; সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ৪৩৫ জন, মৌলভীবাজারে ১১১ জন; বরিশাল জেলায় ১৯৪ জন, রংপুর জেলায় ১১৯ জন, দিনাজপুর জেলায় ১১০ জন এবং ময়মনসিংহে ২৮৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক দিনে। যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের আট জন পুরুষ, ১২ জন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন জন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন একজন।তাদের ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, দুইজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছর এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ২৫ জানুয়ারি তা ১৭ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৬ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ।