ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

দেশে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬২.৯২ শতাংশ, এগিয়ে নারীরা

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পড়তে পারেন, লিখতে পারেন, বুঝতে পারেন ও গণনা করতে পারেন—দেশে এমন প্রায়োগিক সাক্ষরতা সম্পন্ন মানুষের হার ৬২ দশমিক ৯২। তাদের বয়স সাত বছর থেকে তার বেশি। প্রায়োগিক সাক্ষরতায় পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এই জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান। জরিপে দেখা যায়, গ্রামের তুলনায় শহরে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার বেশি। এ হারে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে নারীরা। পুরুষদের মধ্যে যেখানে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬৯ দশমিক ৬৭, সেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ৭৬ দশমিক ৪২। বিবিএস জানিয়েছে, যিনি পড়তে, অনুধাবন করতে, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে, যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং গণনা করতে পারেন, তাঁকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসাব করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জরিপে প্রথমবারের মতো সাত বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের জরিপ করা হয়েছে। সাক্ষরতার হার যাচাইয়ে নির্বাচিত প্রত্যেক ব্যক্তির ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেলে প্রায়োগিকভাবে সাক্ষর হিসেবে ধরা হয়েছে। জরিপটি করা হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ কাজে দেশের সব জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে বলা হয়, দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭। এ ছাড়া ১৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ দশমিক ৭৭। এর আগে ২০১১ সালে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের নিয়ে জরিপ চালানো হয়। তখনকার জরিপে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩ দশমিক ৭০। এই বয়সসীমা ধরলে বর্তমান জরিপে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৬৯। এর অর্থ গত ১৩ বছরে এই হার বেড়েছে ১৯ দশমিক ৯৯। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস প্রমুখ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

দেশে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬২.৯২ শতাংশ, এগিয়ে নারীরা

আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : পড়তে পারেন, লিখতে পারেন, বুঝতে পারেন ও গণনা করতে পারেন—দেশে এমন প্রায়োগিক সাক্ষরতা সম্পন্ন মানুষের হার ৬২ দশমিক ৯২। তাদের বয়স সাত বছর থেকে তার বেশি। প্রায়োগিক সাক্ষরতায় পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এই জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান। জরিপে দেখা যায়, গ্রামের তুলনায় শহরে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার বেশি। এ হারে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে নারীরা। পুরুষদের মধ্যে যেখানে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬৯ দশমিক ৬৭, সেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ৭৬ দশমিক ৪২। বিবিএস জানিয়েছে, যিনি পড়তে, অনুধাবন করতে, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে, যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং গণনা করতে পারেন, তাঁকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসাব করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জরিপে প্রথমবারের মতো সাত বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের জরিপ করা হয়েছে। সাক্ষরতার হার যাচাইয়ে নির্বাচিত প্রত্যেক ব্যক্তির ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেলে প্রায়োগিকভাবে সাক্ষর হিসেবে ধরা হয়েছে। জরিপটি করা হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ কাজে দেশের সব জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে বলা হয়, দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭। এ ছাড়া ১৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ দশমিক ৭৭। এর আগে ২০১১ সালে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের নিয়ে জরিপ চালানো হয়। তখনকার জরিপে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩ দশমিক ৭০। এই বয়সসীমা ধরলে বর্তমান জরিপে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৬৯। এর অর্থ গত ১৩ বছরে এই হার বেড়েছে ১৯ দশমিক ৯৯। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস প্রমুখ।