নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রথম হাইব্রিড পদ্ধতিতে রক্তনালীর চিকিৎসা সম্পন্ন হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। হার্ট আর রক্তনালী সংক্রান্ত নানা জটিল সমস্যার সম্পূর্ণ চিকিৎসার অন্যতম অন্তরায় ছিল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের অভাব। এর বাইরেও প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও নেতৃত্বের অভাব ছিল লক্ষ্য করার মতো।
নানা সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে বিএসএমএমইউয়ে। আর এটি সম্ভব হয়েছে একদল তরুণ, উদ্যমী, দক্ষ আর নিষ্ঠাবান কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনিস্ট, ভাসকুলার সার্জন, এনেস্থেসিওলজিস্ট ও অভিজ্ঞ সাপোর্ট টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে। রবিবার বিএসএমএমইউর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ নামে দূরারোগ্য ব্যধিতে যখন আলোচ্য রোগী এক পা হারাবার উপক্রম, তখনই মুক্তিদূত হয়ে আসে দেশবাসীর আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু বিএসএমএমইউর একদল তরুণ তুর্কী। এদের মধ্যে রয়েছেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রদান (ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট) ডা. মো. রসুল আমিন (শিপন), সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মাদ ফয়সাল ইবনে কবির, ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাকিবুল হাসান ও এনেস্থেসিয়া, এনালজেসিয়া ও ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের কনসাল্ট্যান্ট ডা. ইমতিয়াজ। এসব চিকিৎসক আবারও প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশিরা পারে অসাধ্য সাধন করতে। এক পায়ের রক্তনালী বন্ধ থাকার কারণে পায়ের আঙ্গুলে পচন ধরে তা ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই চিকিৎসক দল, যারা ভাসকুলার সার্জারির একটি জটিল প্রক্রিয়া এথেরেকটমি এবং পায়ের রক্তনালীতে রিং বসানোর মাধ্যমে এই আক্রান্ত পায়ের রক্তসঞ্চালন সম্পূর্ণ পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হয়। এর ফলে রোগীর ভোগান্তির চূড়ান্ত অবসান হয় আর রোগীর পা রক্ষা পায়। এই প্রথম বাংলাদেশে কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশন এবং ভাসকুলার সার্জারি একই সময়, একইসঙ্গে ভাসকুলার সার্জারি অপারেশন থিয়েটার ও কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবে সম্পন্ন হয়। এ ধরনের চিকিৎসা তথা হাইব্রিড পদ্ধতি উন্নত দেশে হলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম, যার নেতৃত্বে রয়েছে বিএসএমএমইউ। আর এর নেপথ্যের নায়ক হলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
দেশে প্রথম হাইব্রিড পদ্ধতিতে রক্তনালীর চিকিৎসায় সাফল্য
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ