ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে নয় সপ্তাহ পর শনাক্তের হার কমে ১৫%

  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার তুলনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নয় সপ্তাহ পর আবার ১৫ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৪ হাজার ৮০৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তাতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়াচ্ছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা ১৭ জুনের পর সর্বনি¤œ।
সেদিন ২৪ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৮৪০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জুলাই মাসের বেশিরভাগ সময় এই হার ৩০ শতাংশের আশেপাশে ছিল। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল; তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৮২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার তার আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৩ হাজার ৯৯১ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ১২০ জনের। শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ছিল ২২ জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম। আর ৩০ জুনের পর সবচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল শনিবার। সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২ হাজার ৮৩৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। আগের দিন এ বিভাগে ২ হাজার ১৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। যে ১৩৯ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৩৮ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৮ হাজার ৪৫৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জন। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে জুন মাস থেকে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছিল। মহামারীর দেড় বছরে গত জুলাই হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত মাস। মাঝ অগাস্টে এসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৪২ জন, যা আগের দিন ৭৬ হাজার ৬৩০ জন ছিল। এক সপ্তাহ আগেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল লাখের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে ১৪ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৩ অগাস্ট। তার আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২০ অগাস্ট তা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৪ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ১৩ লাখের বেশি রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৩১ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৭টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত এক দিনে ঢাকা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জে ১২০ জন এবং গাজীপুরে ১২৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩৪৩ জন, নরসিংদীতে ১৪৭ জন এবং শরীয়তপুরে ১৩১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ২৯৮ জন এবং কুমিল্লায় ১১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে অন্য বিভাগগুলোর বিভিন্ন জেলার মধ্যে সিলেটে ১১০ জন এবং ময়মনসিংহে ১১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ২৩ জন, অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশিই ছিলেন ঢাকা জেলার। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ৮ জন চট্টগ্রাম জেলার এবং ৮ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক দিনে। মৃতদের মধ্যে ৭২ জন ছিল পুরুষ, ৬৭ জন নারী। ১১৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৪ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত ১৩৯ জনের মধ্যে ৭১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে নয় সপ্তাহ পর শনাক্তের হার কমে ১৫%

আপডেট সময় : ০১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার তুলনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নয় সপ্তাহ পর আবার ১৫ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৪ হাজার ৮০৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তাতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়াচ্ছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা ১৭ জুনের পর সর্বনি¤œ।
সেদিন ২৪ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৮৪০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জুলাই মাসের বেশিরভাগ সময় এই হার ৩০ শতাংশের আশেপাশে ছিল। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল; তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৮২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার তার আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৩ হাজার ৯৯১ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ১২০ জনের। শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ছিল ২২ জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম। আর ৩০ জুনের পর সবচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল শনিবার। সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২ হাজার ৮৩৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। আগের দিন এ বিভাগে ২ হাজার ১৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। যে ১৩৯ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৩৮ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৮ হাজার ৪৫৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জন। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে জুন মাস থেকে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছিল। মহামারীর দেড় বছরে গত জুলাই হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত মাস। মাঝ অগাস্টে এসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৪২ জন, যা আগের দিন ৭৬ হাজার ৬৩০ জন ছিল। এক সপ্তাহ আগেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল লাখের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে ১৪ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৩ অগাস্ট। তার আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২০ অগাস্ট তা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৪ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ১৩ লাখের বেশি রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৩১ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৭টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত এক দিনে ঢাকা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জে ১২০ জন এবং গাজীপুরে ১২৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩৪৩ জন, নরসিংদীতে ১৪৭ জন এবং শরীয়তপুরে ১৩১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ২৯৮ জন এবং কুমিল্লায় ১১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে অন্য বিভাগগুলোর বিভিন্ন জেলার মধ্যে সিলেটে ১১০ জন এবং ময়মনসিংহে ১১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ২৩ জন, অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশিই ছিলেন ঢাকা জেলার। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ৮ জন চট্টগ্রাম জেলার এবং ৮ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক দিনে। মৃতদের মধ্যে ৭২ জন ছিল পুরুষ, ৬৭ জন নারী। ১১৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৪ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত ১৩৯ জনের মধ্যে ৭১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।