নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১২ জন। এটি একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মারা গেছেন ১১৯ জন। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৩৮৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৪১ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ ৮ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৫৯টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮২টি। এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং নারী ৪৫ জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ১০ হাজার ২৫৩ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ১৩৫ জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৬১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৪ জন , ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ১ জন , রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ১৩ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ৯ লাখ ছাড়িয়ে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ