নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও কমে এসেছে, গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জন নতুন রোগী, যা দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৩৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। আগে
দেশে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম শনাক্ত ৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও কমে এসেছে, গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জন নতুন রোগী, যা দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৩৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের দিন এই হার শুন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল।
২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ৩৫ জন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এরচেয়ে নিচে নামেনি। নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৭ জন হয়েছে। গত এক দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৩ জন রয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৮৯৯ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা বিভাগের। তাদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
দেশের ৫৬টি জেলায় গত একদিনে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বরিশাল, খুলনা, রংপুর-এই তিন বিভাগে গত একদিনে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শুন্য ৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৩৯ লাখের বেশি।
বিশ্বে এক দিনে মৃত্যু ২৩২৫ শনাক্ত ৭ লাখ : করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছে দুই হাজার ৩২৫ জন। এসময়ে শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ৯৩ হাজার ৬২৫ জন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওয়ার্ল্ডেমিটারের তথ্য বলছে, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ২৭৪ জন। মারা গেছে ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৭ জন। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৯ জন মৃদু উপসর্গ বহন করছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৮৭ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সবচেয়ে বেশি এক লাখ ২৭ হাজার ১৯০ জন শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের। রাশিয়ায় এক দিনে মারা গেছে ২৮৭ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২৯১ জন। এছাড়া জার্মানিতে এক লাখ ২২ হাজার ৬৫১ জন শনাক্ত ও ১৫০ জনের মৃত্যু, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ হাজার ১৪২ জন শনাক্ত ও ১৮০ জনের মৃত্যু, ফ্রান্সে ২৭ হাজার ৬৪৮ জন শনাক্ত ও ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনায় রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
র দিন এই হার শুন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল।
২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ৩৫ জন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এরচেয়ে নিচে নামেনি। নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৭ জন হয়েছে। গত এক দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৩ জন রয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৮৯৯ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা বিভাগের। তাদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
দেশের ৫৬টি জেলায় গত একদিনে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বরিশাল, খুলনা, রংপুর-এই তিন বিভাগে গত একদিনে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শুন্য ৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৩৯ লাখের বেশি।
বিশ্বে এক দিনে মৃত্যু ২৩২৫ শনাক্ত ৭ লাখ : করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছে দুই হাজার ৩২৫ জন। এসময়ে শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ৯৩ হাজার ৬২৫ জন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওয়ার্ল্ডেমিটারের তথ্য বলছে, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ২৭৪ জন। মারা গেছে ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৭ জন। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৯ জন মৃদু উপসর্গ বহন করছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৮৭ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সবচেয়ে বেশি এক লাখ ২৭ হাজার ১৯০ জন শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের। রাশিয়ায় এক দিনে মারা গেছে ২৮৭ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২৯১ জন। এছাড়া জার্মানিতে এক লাখ ২২ হাজার ৬৫১ জন শনাক্ত ও ১৫০ জনের মৃত্যু, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ হাজার ১৪২ জন শনাক্ত ও ১৮০ জনের মৃত্যু, ফ্রান্সে ২৭ হাজার ৬৪৮ জন শনাক্ত ও ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনায় রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।