ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

দেশে দিনে ৮৭৪ রোগী শনাক্ত, ১ জনের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দ্বিতীয় দিনের মত আটশ ছাড়ানো কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৯২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাতে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্তের হার ১১ দশমিক শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আগের দিন সোমবার এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ৮৯৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
গত সোমবারও কোভিডে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। তার আগে সর্বশেষ মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছিল গত ৩০ জুন। মাঝে সময়টায় কোভিডে আর কারও মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় আসেনি। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮৪ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৯৮৩ জন সেরে উঠলেন। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। এক সপ্তাহের মাথায় রোববার তা ছাড়িয়ে যায় আটশ। গত এক দিনে শনাক্ত ৮৭৪ নতুন রোগীর মধ্যে ৭৯০ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। সত্তরোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ছিলেন ঢাকা বিভাগের।
এর বাইরে কক্সবাজারে ২০ জন; নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ১২ জন করে; গাজীপুর ও পাবনায় ৬ জন করে; সিলেট ৪ জন; ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও বরিশালে ৩ জন করে; ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ২ জন করে এবং মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রাঙামাটি, চাঁদপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, মেহেরপুর, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠিতে ১ জন করে কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৯৭ লাখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

দেশে দিনে ৮৭৪ রোগী শনাক্ত, ১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:০৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দ্বিতীয় দিনের মত আটশ ছাড়ানো কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৯২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাতে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্তের হার ১১ দশমিক শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আগের দিন সোমবার এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ৮৯৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
গত সোমবারও কোভিডে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। তার আগে সর্বশেষ মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছিল গত ৩০ জুন। মাঝে সময়টায় কোভিডে আর কারও মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় আসেনি। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮৪ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৯৮৩ জন সেরে উঠলেন। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। এক সপ্তাহের মাথায় রোববার তা ছাড়িয়ে যায় আটশ। গত এক দিনে শনাক্ত ৮৭৪ নতুন রোগীর মধ্যে ৭৯০ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। সত্তরোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ছিলেন ঢাকা বিভাগের।
এর বাইরে কক্সবাজারে ২০ জন; নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ১২ জন করে; গাজীপুর ও পাবনায় ৬ জন করে; সিলেট ৪ জন; ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও বরিশালে ৩ জন করে; ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ২ জন করে এবং মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রাঙামাটি, চাঁদপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, মেহেরপুর, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠিতে ১ জন করে কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৯৭ লাখ।