ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

দেশে দিনে মৃত্যু বেড়ে ৩৮, শনাক্ত কমে ১০৪৩

  • আপডেট সময় : ১২:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে দৈনিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়েছে অধিদপ্তরের বুলেটিনে। আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫৮ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ১৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই সংখ্যাটি আগের দিন ছিল ১ হাজার ৬৪ জন। সরকারি হিসাবে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এই পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। অধিদপ্তরের হিসাবে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন ৪৭ হাজার ৪২৯ জন। নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৪৩ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন। আর আরও ৩৮ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৯।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৯৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০২টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৮টি নমুনা।
গতকাল শনিবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক সপ্তাহের সঙ্গে আগের সপ্তাহের তুলনা করলে দেখা যায়, এই সাত দিনে নমুনা পরীক্ষা ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে; আবার সুস্থতার হারও ৯ শতাংশ কমে গেছে।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৮ জন পুরুষ আর নারী ১০ জন। তাদের ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা যান। তাদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর,এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ৫ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৫৪৯ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৮৪ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ২৮৭ জন কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

দেশে দিনে মৃত্যু বেড়ে ৩৮, শনাক্ত কমে ১০৪৩

আপডেট সময় : ১২:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে দৈনিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়েছে অধিদপ্তরের বুলেটিনে। আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫৮ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ১৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই সংখ্যাটি আগের দিন ছিল ১ হাজার ৬৪ জন। সরকারি হিসাবে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এই পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। অধিদপ্তরের হিসাবে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন ৪৭ হাজার ৪২৯ জন। নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৪৩ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন। আর আরও ৩৮ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৯।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৯৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০২টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৮টি নমুনা।
গতকাল শনিবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক সপ্তাহের সঙ্গে আগের সপ্তাহের তুলনা করলে দেখা যায়, এই সাত দিনে নমুনা পরীক্ষা ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে; আবার সুস্থতার হারও ৯ শতাংশ কমে গেছে।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৮ জন পুরুষ আর নারী ১০ জন। তাদের ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা যান। তাদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর,এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ৫ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৫৪৯ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৮৪ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ২৮৭ জন কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ জন।