ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

দেশে তৈরি কিট দিয়ে ৪-৫ ঘন্টায় করোনা পরীক্ষার ফল

  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তৈরি কিট দিয়ে মাত্র ৪-৫ ঘন্টায় করোনা পরীক্ষার ফল নিশ্চিত করা যাবে। করোনা পরীক্ষার এই কিটটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। বাজারে এর দাম পড়বে মাত্র ২৫০ টাকা। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান করোনা শনাক্তে এই প্রথম আরটিপিসিআর টাইপের এই কিট তৈরি করল। ইতিমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিট উৎপাদনে অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিটের এথিকেল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ।
গতকাল রবিবার রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে বিসিএসআইআর-কোভিড কিট উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসআইআর জানায়, বর্তমানে সরকারিভাবে যে কিট ব্যবহার হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে প্রতিটি করোনা পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণই আমদানি করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। বিসিএসআইআর জানায়, করোনা রোগীদের জন্য বিসিএসআইআর’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কিটটি উদ্ভাবিত হয়েছে। যা একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। অন্যান্য আমদানি করা কিটের তুলনায় বেশি কার্যকরী এই কিট। এর মাধ্যমে একেবারেই ন্যূনতম সংখ্যক ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই জানা যাবে ভাইরাসের উপস্থিতি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই কিট তৈরির মাধ্যমে নামমাত্র খরচে কোনও ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা জানা যাবে। বাজারে এলে একটি কিটের দাম পড়বে ২৫০ টাকা। দেশীয় এই কিট দিয়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় করোনার প্রাথমিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, এটি একটি অভাবনীয় আবিষ্কার। ফলে এখন দেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এই কিট উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল গবেষণা পরিষদ এই কিটের এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষার বিপুল সংখ্যক কিট আমদানি করতে হয়েছে। আমাদের উদ্ভাবিত এই টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করতে সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর এতে বিপুল সাশ্রয় করা সম্ভব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে তৈরি কিট দিয়ে ৪-৫ ঘন্টায় করোনা পরীক্ষার ফল

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তৈরি কিট দিয়ে মাত্র ৪-৫ ঘন্টায় করোনা পরীক্ষার ফল নিশ্চিত করা যাবে। করোনা পরীক্ষার এই কিটটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। বাজারে এর দাম পড়বে মাত্র ২৫০ টাকা। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান করোনা শনাক্তে এই প্রথম আরটিপিসিআর টাইপের এই কিট তৈরি করল। ইতিমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিট উৎপাদনে অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিটের এথিকেল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ।
গতকাল রবিবার রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে বিসিএসআইআর-কোভিড কিট উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসআইআর জানায়, বর্তমানে সরকারিভাবে যে কিট ব্যবহার হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে প্রতিটি করোনা পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণই আমদানি করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। বিসিএসআইআর জানায়, করোনা রোগীদের জন্য বিসিএসআইআর’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কিটটি উদ্ভাবিত হয়েছে। যা একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। অন্যান্য আমদানি করা কিটের তুলনায় বেশি কার্যকরী এই কিট। এর মাধ্যমে একেবারেই ন্যূনতম সংখ্যক ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই জানা যাবে ভাইরাসের উপস্থিতি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই কিট তৈরির মাধ্যমে নামমাত্র খরচে কোনও ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা জানা যাবে। বাজারে এলে একটি কিটের দাম পড়বে ২৫০ টাকা। দেশীয় এই কিট দিয়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় করোনার প্রাথমিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, এটি একটি অভাবনীয় আবিষ্কার। ফলে এখন দেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এই কিট উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল গবেষণা পরিষদ এই কিটের এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষার বিপুল সংখ্যক কিট আমদানি করতে হয়েছে। আমাদের উদ্ভাবিত এই টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করতে সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর এতে বিপুল সাশ্রয় করা সম্ভব।