ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে চিকুনগুনিয়া ও জিকা রোগী পাওয়া গেছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় ৫০০

  • আপডেট সময় : ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এই বছর চিকুনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দায়ী এডিস মশার মাধ্যমেই এই রোগ দুটি ছড়িয়ে থাকে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ এ তথ্য জানান। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, জিকা ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তিনি বলেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগী ৯৩ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু প্রায় ৫০০: দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৭০৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৩ হাজার ৫৬ জন হল। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩৪ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭৩ জন, খুলনায় ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৬০ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত একদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, বাকি দুই জন ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৮০ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ১৪৯ জন; আর ১ হাজার ৬৩০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৬৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৯২ জন। ডিসেম্বরের প্রথম দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৫৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হন ৩১১ জন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের। জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে চিকুনগুনিয়া ও জিকা রোগী পাওয়া গেছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় ৫০০

আপডেট সময় : ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : এই বছর চিকুনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দায়ী এডিস মশার মাধ্যমেই এই রোগ দুটি ছড়িয়ে থাকে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ এ তথ্য জানান। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, জিকা ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তিনি বলেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগী ৯৩ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু প্রায় ৫০০: দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৭০৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৩ হাজার ৫৬ জন হল। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩৪ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭৩ জন, খুলনায় ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৬০ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত একদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, বাকি দুই জন ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৮০ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ১৪৯ জন; আর ১ হাজার ৬৩০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৬৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৯২ জন। ডিসেম্বরের প্রথম দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৫৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হন ৩১১ জন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের। জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।