ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

দেশে করোনার দ্রুতবিস্তার

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু, শনাক্ত এবং শনাক্তের হার সবই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে। এই সময়ে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০.৮৮ শতাংশে। আর গত এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
গতকাল সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনের। আর মোট শনাক্তের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সংক্রমনের এই ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল সোমবার মন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে যত শনাক্ত হচ্ছে এর ৬৯ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আক্রান্তদের বেশির ভাগ রাজধানী ঢাকার বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকায় কিছু জরিপ করেছি। সেই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকাতে করোনা শনাক্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন ধরন। সেটা আগে ১৩ শতাংশে ছিল। ১০ দিনের জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপটি শুধু ঢাকায় করা হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরেও একই হার হবে। করোনা শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ হওয়ার পেছনে কারণই হচ্ছে এটা। হাসপাতালে ১০ শতাংশ হারে রোগী ভর্তি বাড়ছে।’ মন্ত্রী বলেন,‘ওমিক্রন দিনে দিনে ধাপে ধাপে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত ও আতঙ্কিত। আমরা চাই না এভাবে করোনা আবার বাড়ুক। গত ১৫ দিনের করোনা শনাক্তের হার ১৮ শতাংশে উঠে আসছে। গতবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত ২৯-৩০ শতাংশে উঠতে সময় লেগেছে এক মাস। এভার করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে ৩০ শতাংশ হতে বেশি দিন লাগবে না।’ ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০০ জনের ওপরে যাচ্ছে। এই হারে যদি করোনা সংক্রমণ বাড়ে, তাহলে এক দেড় মাসের মধ্যে হাসাপাতালে আর কোনো জায়গা থাকবে না। তখন চিকিৎসা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর থেকে মাঝখানে দুই দিন কেটেছে মৃত্যুহীন। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। গত জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত চরম আকার ধারণ করলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। সরকার ইতিমধ্যে ওমিক্রন ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। তবে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ দেখছেন স্বাস্থ্যের ডিজি : দেশে ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়লেও এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। আইইডিসিআর (সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীই ৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সে তুলনায় অন্যান্য বিভাগে কম। ফলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
গতকাল সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আায়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই টিকা নেননি। এছাড়া কো-মরবিডিটির (ক্যানসার, হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপজনিত) কারণেও মারা যাচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে মোট কতজন মারা গেছে, এ সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শুধু পরীক্ষা ও শনাক্ত করলেই চলবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে না চললে সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে করোনার দ্রুতবিস্তার

আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু, শনাক্ত এবং শনাক্তের হার সবই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে। এই সময়ে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০.৮৮ শতাংশে। আর গত এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
গতকাল সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনের। আর মোট শনাক্তের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সংক্রমনের এই ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল সোমবার মন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে যত শনাক্ত হচ্ছে এর ৬৯ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আক্রান্তদের বেশির ভাগ রাজধানী ঢাকার বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকায় কিছু জরিপ করেছি। সেই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকাতে করোনা শনাক্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন ধরন। সেটা আগে ১৩ শতাংশে ছিল। ১০ দিনের জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপটি শুধু ঢাকায় করা হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরেও একই হার হবে। করোনা শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ হওয়ার পেছনে কারণই হচ্ছে এটা। হাসপাতালে ১০ শতাংশ হারে রোগী ভর্তি বাড়ছে।’ মন্ত্রী বলেন,‘ওমিক্রন দিনে দিনে ধাপে ধাপে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত ও আতঙ্কিত। আমরা চাই না এভাবে করোনা আবার বাড়ুক। গত ১৫ দিনের করোনা শনাক্তের হার ১৮ শতাংশে উঠে আসছে। গতবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত ২৯-৩০ শতাংশে উঠতে সময় লেগেছে এক মাস। এভার করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে ৩০ শতাংশ হতে বেশি দিন লাগবে না।’ ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০০ জনের ওপরে যাচ্ছে। এই হারে যদি করোনা সংক্রমণ বাড়ে, তাহলে এক দেড় মাসের মধ্যে হাসাপাতালে আর কোনো জায়গা থাকবে না। তখন চিকিৎসা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর থেকে মাঝখানে দুই দিন কেটেছে মৃত্যুহীন। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। গত জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত চরম আকার ধারণ করলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। সরকার ইতিমধ্যে ওমিক্রন ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। তবে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ দেখছেন স্বাস্থ্যের ডিজি : দেশে ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়লেও এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। আইইডিসিআর (সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীই ৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সে তুলনায় অন্যান্য বিভাগে কম। ফলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
গতকাল সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আায়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই টিকা নেননি। এছাড়া কো-মরবিডিটির (ক্যানসার, হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপজনিত) কারণেও মারা যাচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে মোট কতজন মারা গেছে, এ সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শুধু পরীক্ষা ও শনাক্ত করলেই চলবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে না চললে সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।