ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

দেশে এক বছরে যে হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খানার সংখ্যা বেড়েছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট। ২০২৩ সালের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২৩’ জরিপ বলছে, বর্তমানে দেশের ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ খানায় ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ খানায়।
আর বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খানার ৬৩ দশমিক ১ শতাংশই শহুরে, বাকি ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ খানা গ্রামীণ জনপদের।
গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মারুফা শাকি।
জরিপের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের খানা পর্যায়ে ২০১৩ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশে বর্তমানে খানা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ খানা। এছাড়াও ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় রেডিও, ৬২ দশমিক ২ শতাংশ খানায় টেলিভিশন এবং ৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় কম্পিউটার ব্যবহার করে। আর ফিক্সডফোন ব্যবহার করে ০ দশমিক ৭ শতাংশ খানায়, তবে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ৯৯ দশমিক ১ শতাংশ খানায়। সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। প্রতিটি খানায় গড়ে চারজন বাস করেন। এক হাড়ির রান্না খেয়ে যারা একসঙ্গে থাকেন-এমন পরিবারকে একটি খানা ধরা হয়। ফলাফল উপস্থাপনকালে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মারুফা শাকি বলেন, খানা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, ৫৯ শতাংশ। এই হার সবচেয়ে কম বরিশাল ও রংপুরে, দুই বিভাগেই ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। খানা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ। কম্পিউটার ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ব্যবহার করে ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ, তবে নিজের মোবাইল আছে-এমন মানুষের হার ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, কম্পিউটারে ব্যবহারে এই হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “দেশের সকল খাতের সঠিক চিত্র পেতে জরিপ পরিচালনার কোনও বিকল্প নেই। তাই বিবিএসকে নতুন নতুন জরিপ পরিচালনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ দেই।বিবিএসের জরিপের মান দিন দিন মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে এক বছরে যে হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী

আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খানার সংখ্যা বেড়েছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট। ২০২৩ সালের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২৩’ জরিপ বলছে, বর্তমানে দেশের ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ খানায় ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ খানায়।
আর বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খানার ৬৩ দশমিক ১ শতাংশই শহুরে, বাকি ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ খানা গ্রামীণ জনপদের।
গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মারুফা শাকি।
জরিপের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের খানা পর্যায়ে ২০১৩ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশে বর্তমানে খানা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ খানা। এছাড়াও ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় রেডিও, ৬২ দশমিক ২ শতাংশ খানায় টেলিভিশন এবং ৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় কম্পিউটার ব্যবহার করে। আর ফিক্সডফোন ব্যবহার করে ০ দশমিক ৭ শতাংশ খানায়, তবে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ৯৯ দশমিক ১ শতাংশ খানায়। সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। প্রতিটি খানায় গড়ে চারজন বাস করেন। এক হাড়ির রান্না খেয়ে যারা একসঙ্গে থাকেন-এমন পরিবারকে একটি খানা ধরা হয়। ফলাফল উপস্থাপনকালে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মারুফা শাকি বলেন, খানা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, ৫৯ শতাংশ। এই হার সবচেয়ে কম বরিশাল ও রংপুরে, দুই বিভাগেই ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। খানা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ। কম্পিউটার ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ব্যবহার করে ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ, তবে নিজের মোবাইল আছে-এমন মানুষের হার ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, কম্পিউটারে ব্যবহারে এই হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “দেশের সকল খাতের সঠিক চিত্র পেতে জরিপ পরিচালনার কোনও বিকল্প নেই। তাই বিবিএসকে নতুন নতুন জরিপ পরিচালনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ দেই।বিবিএসের জরিপের মান দিন দিন মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।”