ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

দেশে এক দিনে শনাক্ত বেড়ে তিনশর বেশি

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে ১৮ দিন পর তিনশর বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে এক দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩২৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এর আগে সবশেষ ২৪ অক্টোবর ৩১২ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, তারপর থেকে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিনশর নিচেই ছিল।
গত শনিবার দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসে। এক দিনে ১৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় পাঁচজনের। সেই হিসাবে পরদিন নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩৫ জন, আর মৃত্যু বেড়েছে একজন। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮৮ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৪৭ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের প্রায় ৮৩ শতাংশ। দেশের ৩৪ জেলায় এ সময় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের, বরিশাল বিভাগে ১ জন এবং একজন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ৬১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত এক দিনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৯৮ লাখের বেশি রোগী।
বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে : সারাবিশ্বে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ লাখ ১৭ হাজার ৬১৬ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ জনে।
গতকাল রোববার সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছেন ৪৪৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৬২ হাজার ৬৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন আট লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৭১ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৮৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ জনের।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৬ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৩৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৮৫৯ জনের। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ১২৮ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে এক দিনে শনাক্ত বেড়ে তিনশর বেশি

আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে ১৮ দিন পর তিনশর বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে এক দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩২৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এর আগে সবশেষ ২৪ অক্টোবর ৩১২ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, তারপর থেকে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিনশর নিচেই ছিল।
গত শনিবার দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসে। এক দিনে ১৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় পাঁচজনের। সেই হিসাবে পরদিন নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩৫ জন, আর মৃত্যু বেড়েছে একজন। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮৮ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৪৭ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের প্রায় ৮৩ শতাংশ। দেশের ৩৪ জেলায় এ সময় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের, বরিশাল বিভাগে ১ জন এবং একজন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ৬১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত এক দিনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৯৮ লাখের বেশি রোগী।
বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে : সারাবিশ্বে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ লাখ ১৭ হাজার ৬১৬ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ জনে।
গতকাল রোববার সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছেন ৪৪৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৬২ হাজার ৬৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন আট লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৭১ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৮৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ জনের।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৬ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৩৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৮৫৯ জনের। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ১২৮ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।