ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

দেশে এক দিনে শনাক্ত দেড়শর নিচে

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দেড়শর নিচে নেমে এসেছে; দৈনিক শনাক্তের হারও নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে একজনের। তাতে দিনে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ১৪১ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪১৩ জনগত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৪ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৬ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ : করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোপূর্বে এই ভ্যারিয়েন্টটি সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং হংকংসহ অন্তত ১৭টি দেশের মানবদেহে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)- এর প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। আইসিডিডিআর,বি জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি ৯২টি সার্স-কোভ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। এতে তারা দেখেছে, ভাইরাস সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্সের প্রথম দুই সপ্তাহে ১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ওমিক্রন বিএ.-২ ৮৪ শতাংশ এবং বিএ.-৫ ১৬ শতাংশ শনাক্ত করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সাব ভ্যারিয়েন্টের বেশিরভাগই একটি নতুন-সাবভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যা গত তিন সপ্তাহে (২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর) সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাসগুলোর ৮৫ শতাংশ গঠন করেছিল। গবেষণা চলাকালে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ ছাড়াও আরেকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে বলেও আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে এক দিনে শনাক্ত দেড়শর নিচে

আপডেট সময় : ০১:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দেড়শর নিচে নেমে এসেছে; দৈনিক শনাক্তের হারও নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে একজনের। তাতে দিনে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ১৪১ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪১৩ জনগত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৪ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৬ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ : করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোপূর্বে এই ভ্যারিয়েন্টটি সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং হংকংসহ অন্তত ১৭টি দেশের মানবদেহে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)- এর প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। আইসিডিডিআর,বি জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি ৯২টি সার্স-কোভ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। এতে তারা দেখেছে, ভাইরাস সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্সের প্রথম দুই সপ্তাহে ১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ওমিক্রন বিএ.-২ ৮৪ শতাংশ এবং বিএ.-৫ ১৬ শতাংশ শনাক্ত করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সাব ভ্যারিয়েন্টের বেশিরভাগই একটি নতুন-সাবভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যা গত তিন সপ্তাহে (২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর) সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাসগুলোর ৮৫ শতাংশ গঠন করেছিল। গবেষণা চলাকালে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্স বি বি’ ছাড়াও আরেকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে বলেও আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।