ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে এক দিনে আরও ২২৫ মৃত্যু, শনাক্ত রোগী ১১ লাখ ছাড়াল

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র নয় দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জন।
গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১৭ হাজার ৮৯৪ জনের মৃত্যু হল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ১০ লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৯ জুলাই। এই তালিকায় আরও এক লাখ নাম যুক্ত হতে সময় লাগল মাত্র নয় দিন। মহামারীর ষোল মাসে বাংলাদেশে এত কম সময় আর কখনও এত রোগী শনাক্ত হয়নি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে গত ১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মত এক দিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী ধরা পড়ে। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ জুলাই তা ১৭ হাজার ছাড়ায়। এর মধ্যে ১১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন শনিবার ২৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৪৮৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। এক দিনের ব্যবধানে দুই সংখ্যাই বেড়েছে অনেক। গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজার ৮৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪১ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৩ জন রোগী। আর যে ২২৫ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬০ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৫৪ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৯ কোটি ছাড়িয়েছে। আর ৪০ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারীতে। গত বছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২০ ডিসেম্বর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ৯৯ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ২৯ মার্চ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়ায়। ততদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ, দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে। মাত্র ১৬ দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ এপ্রিল সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এই এক লাখ শনাক্তে সময় লাগে ৪৭ দিন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে আসে মে মাসে। পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগে দেড় মাস; দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যায় ৩১ মে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় জুনের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু আবার বাড়তে শুরু করে। সেই পথ ধরে এক মাসের মধ্যে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়, ২৯ জুন মোট শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছায় ৯ লাখে। এরপর মাত্র ১০ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হলে ৯ জুলাই মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখের দুঃখজনক মাইল ফলকে পৌঁছায়। সেই সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছাল আরও কম সময়ে, মাত্র নয় দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৩৮টি ল্যাবে ৩৯ হাজার ৮০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা আগেদিন ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।
দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় গত এক দিনে ৩ হাজার ৩৫৪ জন, ফরিদপুরে ১৩৯ জন, গাজীপুরে ২৮৪ জন, মাদারিপুরে ১৫৩ জন,মুন্সিগঞ্জে ১১১ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৯২ জন, নরসিংদীতে ১২১ জন এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৪৫ জন, কক্সবাজারে ১১৩, ফেনীতে ১১১ জনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬০ জন এবং কুমিল্লায় ২৮৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২১৫ জন, নাটোরে ২১৪ জন, পাবনায় ২৩০ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৪ জন এবং বগুড়ায় ১৯৫ জন নতুন রোগী মিলেছে। খুলনা বিভাগের বাগেরহাটে ১০২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১২৬ জন, যশোরে ১৫৩ জন, খুলনায় ৩৯৪ জন, কুষ্টিয়ায় ২০৩ জন এবং সাতক্ষীরায় ১০১ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। এছাড়া অন্য বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালে ১৯৭ জন, ঝালকাঠিতে ১০৭ জন, ময়মনসিংহে ১৯৮ জন, সিলেটে ২৯০ জন, হবিগঞ্জে ১০৫ জন এবং মৌলভীবাজারে ১৮৮ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত এক দিনে। গত এক দিনে ঢাকা বিভাগে যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪১ জন ঢাকা জেলার। আর খুলনা বিভাগে মারা যাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ১১ জন খুলনা এবং ১৫ জন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। মৃত ২২৫ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি। আর ১১৪ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। তাদের ১২৩ জন ছিলেন পুরুষ, ১০২ জন ছিলেন নারী। ১৮০ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঋণ পরিশোধে ৮ বছর সময় পাবেন আমদানিকারকরা

দেশে এক দিনে আরও ২২৫ মৃত্যু, শনাক্ত রোগী ১১ লাখ ছাড়াল

আপডেট সময় : ০১:১৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র নয় দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জন।
গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১৭ হাজার ৮৯৪ জনের মৃত্যু হল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ১০ লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৯ জুলাই। এই তালিকায় আরও এক লাখ নাম যুক্ত হতে সময় লাগল মাত্র নয় দিন। মহামারীর ষোল মাসে বাংলাদেশে এত কম সময় আর কখনও এত রোগী শনাক্ত হয়নি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে গত ১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মত এক দিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী ধরা পড়ে। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ জুলাই তা ১৭ হাজার ছাড়ায়। এর মধ্যে ১১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন শনিবার ২৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৪৮৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। এক দিনের ব্যবধানে দুই সংখ্যাই বেড়েছে অনেক। গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজার ৮৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪১ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৩ জন রোগী। আর যে ২২৫ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬০ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৫৪ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৯ কোটি ছাড়িয়েছে। আর ৪০ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারীতে। গত বছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২০ ডিসেম্বর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ৯৯ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ২৯ মার্চ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়ায়। ততদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ, দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে। মাত্র ১৬ দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ এপ্রিল সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এই এক লাখ শনাক্তে সময় লাগে ৪৭ দিন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে আসে মে মাসে। পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগে দেড় মাস; দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যায় ৩১ মে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় জুনের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু আবার বাড়তে শুরু করে। সেই পথ ধরে এক মাসের মধ্যে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়, ২৯ জুন মোট শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছায় ৯ লাখে। এরপর মাত্র ১০ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হলে ৯ জুলাই মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখের দুঃখজনক মাইল ফলকে পৌঁছায়। সেই সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছাল আরও কম সময়ে, মাত্র নয় দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৩৮টি ল্যাবে ৩৯ হাজার ৮০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা আগেদিন ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।
দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় গত এক দিনে ৩ হাজার ৩৫৪ জন, ফরিদপুরে ১৩৯ জন, গাজীপুরে ২৮৪ জন, মাদারিপুরে ১৫৩ জন,মুন্সিগঞ্জে ১১১ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৯২ জন, নরসিংদীতে ১২১ জন এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৪৫ জন, কক্সবাজারে ১১৩, ফেনীতে ১১১ জনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬০ জন এবং কুমিল্লায় ২৮৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২১৫ জন, নাটোরে ২১৪ জন, পাবনায় ২৩০ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৪ জন এবং বগুড়ায় ১৯৫ জন নতুন রোগী মিলেছে। খুলনা বিভাগের বাগেরহাটে ১০২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১২৬ জন, যশোরে ১৫৩ জন, খুলনায় ৩৯৪ জন, কুষ্টিয়ায় ২০৩ জন এবং সাতক্ষীরায় ১০১ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। এছাড়া অন্য বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালে ১৯৭ জন, ঝালকাঠিতে ১০৭ জন, ময়মনসিংহে ১৯৮ জন, সিলেটে ২৯০ জন, হবিগঞ্জে ১০৫ জন এবং মৌলভীবাজারে ১৮৮ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত এক দিনে। গত এক দিনে ঢাকা বিভাগে যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪১ জন ঢাকা জেলার। আর খুলনা বিভাগে মারা যাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ১১ জন খুলনা এবং ১৫ জন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। মৃত ২২৫ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি। আর ১১৪ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। তাদের ১২৩ জন ছিলেন পুরুষ, ১০২ জন ছিলেন নারী। ১৮০ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।