ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় টানা দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো জেলা। এর সঙ্গে মৃদু বাতাস যোগ হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

জেলার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯৭ শতাংশ। কুয়াশার কারণে আকাশ ধূসর আকার ধারণ করেছে। এদিন এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের মধ্যে সূর্যের দেখা মিলতে পারে। যদিও সকাল ৯টার পর কয়েক মিনিটের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তা মিলিয়ে গেছে।

শীত ও কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে অনেককে খড়, পুরোনো কাপড় জড়িয়ে কিংবা খোলা স্থানে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের প্রভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঈদগাহপাড়ার রাজমিস্ত্রি কালাম হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার সময় কাজে এসেছি। তীব্র ঠান্ডা ও বাতাসের কারণে শরীর কাঁপছে। তবুও পেটের দায়ে কাজে আসতে হচ্ছে। একদিন কাজ না করলে খাবার জোটে না।

দিনমজুর সাত্তার আলী বলেন, সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীত বেশি পড়ছে। সকালে কাজে যাওয়া খুব কষ্টকর। তবুও সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বের হতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরেই জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো প্রায় নেই বললেই চলে। তবে আজ সূর্যের দেখা মিলতে পারে। এছাড়া মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা আছে। আর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এসি/আপ্র/২২/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এবার খুলনায় প্রকাশ্যে এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট সময় : ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় টানা দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো জেলা। এর সঙ্গে মৃদু বাতাস যোগ হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

জেলার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯৭ শতাংশ। কুয়াশার কারণে আকাশ ধূসর আকার ধারণ করেছে। এদিন এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের মধ্যে সূর্যের দেখা মিলতে পারে। যদিও সকাল ৯টার পর কয়েক মিনিটের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তা মিলিয়ে গেছে।

শীত ও কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে অনেককে খড়, পুরোনো কাপড় জড়িয়ে কিংবা খোলা স্থানে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের প্রভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঈদগাহপাড়ার রাজমিস্ত্রি কালাম হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার সময় কাজে এসেছি। তীব্র ঠান্ডা ও বাতাসের কারণে শরীর কাঁপছে। তবুও পেটের দায়ে কাজে আসতে হচ্ছে। একদিন কাজ না করলে খাবার জোটে না।

দিনমজুর সাত্তার আলী বলেন, সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীত বেশি পড়ছে। সকালে কাজে যাওয়া খুব কষ্টকর। তবুও সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বের হতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরেই জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো প্রায় নেই বললেই চলে। তবে আজ সূর্যের দেখা মিলতে পারে। এছাড়া মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা আছে। আর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এসি/আপ্র/২২/১২/২০২৫