ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

দেশের সর্বত্র চলছেই নারীর প্রতি হয়রানি, সহিংসতা, নির্যাতন

  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশে বাড়ি, কর্মস্থল, পরিবহন, রাস্তাঘাট- কোথাও নারী নিরাপদ নন। সর্বত্র নারীর প্রতি এক ধরনের হয়রানি, সহিংসতা, নির্যাতন চলছেই। যত দিন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে নারীর সম্মান না বাড়বে, তত দিন এ সহিংসতা চলতেই থাকবে। নারী সংসার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সমানভাবে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করে, রাষ্ট্র নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের ‘নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ’-এ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারীর অধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত অঙ্গীকারের পুনরুচ্চারণ করা হয়। এ বিষয় নিয়েই এবারের নারী ও শিশু পাতার প্রধান ফিচার

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম অভিযোগ তুলেছেন ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারের পর থেকেই মিডিয়া পাড়ায় হই চই শুরু হয়ে যায়। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ সবাই এ বিষয়ে সুস্থ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এই যৌন হয়রানি কি শুধু ক্রিকেট অঙ্গনে? নাকি প্রতিটি পদে পদে নারী এই হয়রানি শিকার হচ্ছেন, উত্তর হচ্ছে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ছোট-বড় সব জায়গায় একই গল্প বারবার ফিরে আসে, শুধু চরিত্র আর প্রেক্ষাপট বদলায়। জাহানারা হয়তো সাহসী। কিন্তু সব নারী তার মতো সাহস দেখাতে পারেন না। কারণ এই সমাজে এখনো সত্য বলার মূল্য দিতে হয় সম্মান, চাকরি, এমনকি জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে। অনেকেই তাই চুপ থাকেন। নীরবতা অনেক সময় বেঁচে থাকার কৌশল হয়ে দাঁড়ায়।

অধিকাংশ নারী শ্রমিক যৌন হয়রানির বিষয়টা বোঝেনই না। অনেকে মনে করেন, ধর্ষণই হচ্ছে যৌন হারানি। কিন্তু কর্মস্থলে একজন নারীর সঙ্গে কীভাবে কথা বলা হচ্ছে, কীভাবে তাকানো হচ্ছে, সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী শারীরিক ও মানসিকভাবেও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকে সেটি বুঝতে পারছেন না। অনেক সময় অনেকে তাদের মুঠোফোনে অশালীন খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে, গায়ে হাত দিয়ে কথা বলছে- এটাকে অনেকে যৌন হয়রানি মনে করছেন না।

মনে রাখতে হবে- একজন নারীর প্রতি কটূদৃষ্টি, অশালীন রসিকতা, অযাচিত বার্তা, গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা- সবই যৌন হয়রানির অন্তর্ভুক্ত। একজন নারী প্রতিদিন কর্মস্থলে এমন ‘ছোট ছোট’ অসংখ্য অপমানের মধ্য দিয়ে যান; যা তার আত্মমর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে দেয়।

এক সময় গার্মেন্টস সেক্টর ছিল নারীর যৌন হয়রানির প্রধান ক্ষেত্র। কিন্তু সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি করার ফলে সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন নারীরা কাজ করছেন ব্যাংক, এনজিও, আদালত, গণমাধ্যম, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায়। এই বহুমাত্রিক কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা এখন মানবাধিকার ইস্যু। কোনো নারী কর্মস্থলে নিরাপদ বোধ না করলে তার কর্মদক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান- সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা মানে শুধু নারীকে রক্ষা করা নয়; বরং একটি কার্যকর, ন্যায়নিষ্ঠ ও টেকসই সমাজ গড়া।

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা, এমনকি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইনও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনগুলো অনেক সময়ই থাকে প্রতীকী অস্তিত্বে। গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন হয়রানির মামলার সাজার হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ নারী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে যে, আমাদের আইনব্যবস্থা এখনো নারীর পক্ষে নয়, বরং ক্ষমতাবানদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে। সাহস করে কয়জন নারী প্রতিবাদ করলেও তার বিচার প্রক্রিয়া এত জটিল এবং সময় সাপেক্ষে যে, মামলার ফল না দেখেই মৃত্যুবরণ করতে হতে পারে।

নারী সুরক্ষার জন্য অনেক হেল্পলাইন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইন ৩৩৩। পুলিশ প্রশাসনের হেল্পলাইন ৯৯৯। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০৯। দুদক একটা হেল্পলাইন করেছে ১০৬। মানুষ ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না, কোন নম্বরে তারা কল করবে। কোথায় কল দিলে কার্যকর সাহায্য পাবে। তাই নারী হয়রানি বন্ধে করণীয় হলো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয় করতে হবে- শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও; কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি- যৌন হয়রানি কী, এর প্রতিটি দিক সম্পর্কে জানাতে হবে; অভিযোগ ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও গোপনীয় করতে হবে- যেন নারীরা ভয় ছাড়াই অভিযোগ জানাতে পারেন; হেল্পলাইন সমন্বয় করে একক নম্বর চালু করতে হবে; বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে- এ দীর্ঘসূত্রতা ভুক্তভোগীর দ্বিতীয় নির্যাতনে পরিণত হয়; রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা পরিচালনা করতে হবে যাতে ভুক্তভোগীর অর্থনৈতিক কোনো ঝামেলা তৈরি না হয়।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দেশের সর্বত্র চলছেই নারীর প্রতি হয়রানি, সহিংসতা, নির্যাতন

আপডেট সময় : ০৫:৪২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে বাড়ি, কর্মস্থল, পরিবহন, রাস্তাঘাট- কোথাও নারী নিরাপদ নন। সর্বত্র নারীর প্রতি এক ধরনের হয়রানি, সহিংসতা, নির্যাতন চলছেই। যত দিন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে নারীর সম্মান না বাড়বে, তত দিন এ সহিংসতা চলতেই থাকবে। নারী সংসার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সমানভাবে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করে, রাষ্ট্র নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের ‘নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ’-এ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারীর অধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত অঙ্গীকারের পুনরুচ্চারণ করা হয়। এ বিষয় নিয়েই এবারের নারী ও শিশু পাতার প্রধান ফিচার

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম অভিযোগ তুলেছেন ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারের পর থেকেই মিডিয়া পাড়ায় হই চই শুরু হয়ে যায়। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ সবাই এ বিষয়ে সুস্থ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এই যৌন হয়রানি কি শুধু ক্রিকেট অঙ্গনে? নাকি প্রতিটি পদে পদে নারী এই হয়রানি শিকার হচ্ছেন, উত্তর হচ্ছে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ছোট-বড় সব জায়গায় একই গল্প বারবার ফিরে আসে, শুধু চরিত্র আর প্রেক্ষাপট বদলায়। জাহানারা হয়তো সাহসী। কিন্তু সব নারী তার মতো সাহস দেখাতে পারেন না। কারণ এই সমাজে এখনো সত্য বলার মূল্য দিতে হয় সম্মান, চাকরি, এমনকি জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে। অনেকেই তাই চুপ থাকেন। নীরবতা অনেক সময় বেঁচে থাকার কৌশল হয়ে দাঁড়ায়।

অধিকাংশ নারী শ্রমিক যৌন হয়রানির বিষয়টা বোঝেনই না। অনেকে মনে করেন, ধর্ষণই হচ্ছে যৌন হারানি। কিন্তু কর্মস্থলে একজন নারীর সঙ্গে কীভাবে কথা বলা হচ্ছে, কীভাবে তাকানো হচ্ছে, সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী শারীরিক ও মানসিকভাবেও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকে সেটি বুঝতে পারছেন না। অনেক সময় অনেকে তাদের মুঠোফোনে অশালীন খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে, গায়ে হাত দিয়ে কথা বলছে- এটাকে অনেকে যৌন হয়রানি মনে করছেন না।

মনে রাখতে হবে- একজন নারীর প্রতি কটূদৃষ্টি, অশালীন রসিকতা, অযাচিত বার্তা, গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা- সবই যৌন হয়রানির অন্তর্ভুক্ত। একজন নারী প্রতিদিন কর্মস্থলে এমন ‘ছোট ছোট’ অসংখ্য অপমানের মধ্য দিয়ে যান; যা তার আত্মমর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে দেয়।

এক সময় গার্মেন্টস সেক্টর ছিল নারীর যৌন হয়রানির প্রধান ক্ষেত্র। কিন্তু সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি করার ফলে সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন নারীরা কাজ করছেন ব্যাংক, এনজিও, আদালত, গণমাধ্যম, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায়। এই বহুমাত্রিক কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা এখন মানবাধিকার ইস্যু। কোনো নারী কর্মস্থলে নিরাপদ বোধ না করলে তার কর্মদক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান- সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা মানে শুধু নারীকে রক্ষা করা নয়; বরং একটি কার্যকর, ন্যায়নিষ্ঠ ও টেকসই সমাজ গড়া।

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা, এমনকি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইনও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনগুলো অনেক সময়ই থাকে প্রতীকী অস্তিত্বে। গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন হয়রানির মামলার সাজার হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ নারী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে যে, আমাদের আইনব্যবস্থা এখনো নারীর পক্ষে নয়, বরং ক্ষমতাবানদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে। সাহস করে কয়জন নারী প্রতিবাদ করলেও তার বিচার প্রক্রিয়া এত জটিল এবং সময় সাপেক্ষে যে, মামলার ফল না দেখেই মৃত্যুবরণ করতে হতে পারে।

নারী সুরক্ষার জন্য অনেক হেল্পলাইন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইন ৩৩৩। পুলিশ প্রশাসনের হেল্পলাইন ৯৯৯। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০৯। দুদক একটা হেল্পলাইন করেছে ১০৬। মানুষ ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না, কোন নম্বরে তারা কল করবে। কোথায় কল দিলে কার্যকর সাহায্য পাবে। তাই নারী হয়রানি বন্ধে করণীয় হলো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয় করতে হবে- শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও; কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি- যৌন হয়রানি কী, এর প্রতিটি দিক সম্পর্কে জানাতে হবে; অভিযোগ ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও গোপনীয় করতে হবে- যেন নারীরা ভয় ছাড়াই অভিযোগ জানাতে পারেন; হেল্পলাইন সমন্বয় করে একক নম্বর চালু করতে হবে; বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে- এ দীর্ঘসূত্রতা ভুক্তভোগীর দ্বিতীয় নির্যাতনে পরিণত হয়; রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা পরিচালনা করতে হবে যাতে ভুক্তভোগীর অর্থনৈতিক কোনো ঝামেলা তৈরি না হয়।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ