ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫

দেশের রিজার্ভের তথ্য জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো দুই হাজার ৮৫ কোটি ডলার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভে ডলারের পরিমাণও সামান্য বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধপথে ১৯২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ছয় মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ দিনেই এসেছে ১৯২ কোটি ডলারের বেশি। এ মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলাম হবে ৪ দিন

এদিকে বাজারে তারল্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে চলতি মার্চ মাসে ৪ দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩০, ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিলের ওপর আগামী ৫, ১২, ১৯ ও ২৭ মার্চ এসব নিলাম হবে। “এতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানসহ দেশের যেকোনো বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা বা ১০ লাখ টাকার গুণিতক অংকের যেকোনো মূল্যে বিড দাখিল করতে পারবেন।” কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রতি ১০০ টাকার ‘ফেইস ভ্যালুর’ জন্য ডিসকাউন্টে বিলের প্রস্তাবিত ক্রয়মূল্য উল্লেখসহ মোট অভিহিত মূল্য উদ্ধৃত করে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বিড করতে হবে। নিলামের দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এফএম মডূলের মাধ্যমে বিড দাখিলের কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

নিলামের ফল দুপুর ১টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে। নিলামে অংশগ্রহণের বিশদ পদ্ধতিগত নির্দেশনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, “তারল্য সংকটের সময় ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে তুলনামূলক ভালো ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছেন। “এতে কিছু ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এ মূহুর্তে অতিরিক্ত তারল্য ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে উঠিয়ে নিতে চাইছে। যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সেই টাকা জমা দিয়ে বিল কিনবে।”

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশের রিজার্ভের তথ্য জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো দুই হাজার ৮৫ কোটি ডলার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভে ডলারের পরিমাণও সামান্য বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধপথে ১৯২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ছয় মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ দিনেই এসেছে ১৯২ কোটি ডলারের বেশি। এ মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলাম হবে ৪ দিন

এদিকে বাজারে তারল্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে চলতি মার্চ মাসে ৪ দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩০, ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিলের ওপর আগামী ৫, ১২, ১৯ ও ২৭ মার্চ এসব নিলাম হবে। “এতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানসহ দেশের যেকোনো বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা বা ১০ লাখ টাকার গুণিতক অংকের যেকোনো মূল্যে বিড দাখিল করতে পারবেন।” কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রতি ১০০ টাকার ‘ফেইস ভ্যালুর’ জন্য ডিসকাউন্টে বিলের প্রস্তাবিত ক্রয়মূল্য উল্লেখসহ মোট অভিহিত মূল্য উদ্ধৃত করে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বিড করতে হবে। নিলামের দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এফএম মডূলের মাধ্যমে বিড দাখিলের কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

নিলামের ফল দুপুর ১টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে। নিলামে অংশগ্রহণের বিশদ পদ্ধতিগত নির্দেশনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, “তারল্য সংকটের সময় ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে তুলনামূলক ভালো ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছেন। “এতে কিছু ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এ মূহুর্তে অতিরিক্ত তারল্য ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে উঠিয়ে নিতে চাইছে। যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সেই টাকা জমা দিয়ে বিল কিনবে।”