নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ৬০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া রোগীদেরও সুস্থ করতে সক্ষম হচ্ছে। এ কারণে দেশের মানুষের কাছে এই হাসপাতালটি আস্থা অর্জন করেছে। তাই দগ্ধ হওয়ার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে না ছুটে দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গতকাল শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবু হেনা রনিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধরা দেশের চিকিৎসার উপর আস্থা রাখায় তাদেরকে দেশের বাইরে নিতে হয়নি।’
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘গাজীপুরে দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার আমাকে ফোন করে বলেছিলেন দগ্ধদেরকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন। তখন ইউএস-বাংলাকে বলা হয়েছিল তাদের দিয়ে দ্রুত সিঙ্গাপুরে বা যেখানে প্রয়োজন সেখানে যেন পাঠাতে পারি। পরবর্তী সময়ে শুনলাম আবু হেনা রনি ও জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেছেন। এ কারণে তাদের আর বাইরে নেওয়া হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে তারা সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন।’
আইজিপি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট ৬০ শতাংশ দগ্ধ রোগীদেরও সুস্থ করতে সক্ষম হচ্ছে। যার কারণে দেশের মানুষের কাছে এই হাসপাতালটি আস্থা অর্জন করেছে। যেকোন বার্ন এক্সিডেন্ট হলে মানুষ দ্রুততম সময়ে এখানে আসছে এবং এখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। এখানে চিকিৎসা সেবায় যে নতুনত্ব ও আধুনিকতা আনা হয়েছে এর জন্য হাসপাতালের প্রধান সমন্বয় কর্মকর্তা সামন্ত লাল সেনকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই এখানকার দায়িত্বরত সব চিকিৎসক, নার্স এবং যারা চিকিৎসার কাজে দায়িত্ব পালন করছেন সবাইকে।’
এসময় আবু হেনা রনিকে জাতীয় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘রনির দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষও অনেক কষ্ট পেয়েছে। আজকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত হবে। তিনি আবারও কৌতুক পরিবেশনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারবেন।’
এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রায় এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন আবু হেনা রনি ও পুলিশের কনস্টেবল জিল্লুর রহমান। সরকারি খরচ বাদ দিয়ে তাদের সব খরচ পুলিশ বাহিনী বহন করেছে। তার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, অনেক শিশু বেলুনে আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। তাই গ্যাস বেলুনের বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে রনি ও পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের হাতে ছাড়পত্র তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রধান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখুন: আইজিপি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ