ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের উন্নয়নে যারা কাজ করবে তাদের আমরা বুকে টেনে নেব: জামায়াত আমির

  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার কুয়েতে এক প্রীতি সমাবেশে কথা বলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আগের মতো বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। সবাইকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে বলি ব্যক্তি নয়, দল নয়, স্বার্থটা দেশের। যারা দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে আমরা তাদের বুকে টেনে নেব।

চারদিনের কুয়েত সফর শেষে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রীতি সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন মালিক নয়, আমরা হবো জাতির খাদেম। কে হিন্দু কে মুসলিম কে কোন দল করে দেখবো না। আমরা দেখবো সে বাংলাদেশি কি না। অনেকেই বলেন বিশ্বের অন্য দেশ এটা পছন্দ করবে কি না? বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব তারা তাদের দেশকে পছন্দ করুক। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালোবাসা চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা থাকবে।

৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গেছে সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

প্রবাসীদের অভিযোগ শুনে জামায়াতের আমির বলেন, আমি যেই দেশেই যাচ্ছি সেই দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পাচ্ছি। সময়মতো পাসপোর্ট পাই না। বাড়তি খরচ করতে হয়। একে দিতে হয় ওকে দিতে হয়। যেন করুণার পাত্র। আবার কেউ মারা গেলে মরদেহটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এদিক-ওদিক দৌড়াতে হয়। অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে ন্যায্য পাওনা পান না। দূতাবাস আমাদের পাশে থাকে না। তাহলে দূতাবাসের কাজটা কী?

তিনি বলেন, দূতাবাস হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা একটি প্রতিষ্ঠান। দূতাবাস যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে তাদের দরকার নাই। প্রবাসীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, বাধাগ্রস্ত হলে এদেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা উচিত। আমরা বিভিন্ন জাগায় দেখছি দূতাবাস সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। এভাবে চলতে পারে না।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশের উন্নয়নে যারা কাজ করবে তাদের আমরা বুকে টেনে নেব: জামায়াত আমির

আপডেট সময় : ০৫:০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আগের মতো বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। সবাইকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে বলি ব্যক্তি নয়, দল নয়, স্বার্থটা দেশের। যারা দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে আমরা তাদের বুকে টেনে নেব।

চারদিনের কুয়েত সফর শেষে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রীতি সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন মালিক নয়, আমরা হবো জাতির খাদেম। কে হিন্দু কে মুসলিম কে কোন দল করে দেখবো না। আমরা দেখবো সে বাংলাদেশি কি না। অনেকেই বলেন বিশ্বের অন্য দেশ এটা পছন্দ করবে কি না? বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব তারা তাদের দেশকে পছন্দ করুক। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালোবাসা চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা থাকবে।

৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গেছে সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

প্রবাসীদের অভিযোগ শুনে জামায়াতের আমির বলেন, আমি যেই দেশেই যাচ্ছি সেই দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পাচ্ছি। সময়মতো পাসপোর্ট পাই না। বাড়তি খরচ করতে হয়। একে দিতে হয় ওকে দিতে হয়। যেন করুণার পাত্র। আবার কেউ মারা গেলে মরদেহটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এদিক-ওদিক দৌড়াতে হয়। অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে ন্যায্য পাওনা পান না। দূতাবাস আমাদের পাশে থাকে না। তাহলে দূতাবাসের কাজটা কী?

তিনি বলেন, দূতাবাস হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা একটি প্রতিষ্ঠান। দূতাবাস যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে তাদের দরকার নাই। প্রবাসীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, বাধাগ্রস্ত হলে এদেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা উচিত। আমরা বিভিন্ন জাগায় দেখছি দূতাবাস সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। এভাবে চলতে পারে না।