ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের অর্থনীতর সঙ্গে পুঁজিবাজারের মিল নেই’

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতর সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোন মিল নেই। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে যখন ধস নামে তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিলো। এরপর থেকে অর্থনীতির অনেক উন্নয়ন হলেও পুঁজিবাজারের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে অনলাইন বিজনেস নিউজপোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম; বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস আওয়ার টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা আকতার হোসেন সান্নামাত (এফসিএ)। এতে সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক ও প্রকাশক আমিরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে গত ২০ বছর ধরে আলোচনা হলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মূল কারণ হিসাবে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত অর্থ পড়ে আছে। ভালো কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো পেছনে পেছনে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ তারা খুব সহজে টাকা পাচ্ছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিতে সময়ক্ষেপণ এবং নানা বাধা পেরোতে হয়। ফলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক এবং পুঁজিবাজারের মধ্যে অবশ্যই ব্যাংক এগিয়ে আছে। সেখানে কস্ট অব ফান্ডও কম। তাহলে কেন তারা পুঁজিবাজারে আসবে? ’তিনি বলেন, ‘যতোদিন পর্যন্ত ব্যাংকে পর্যাপ্ত তারল্য থাকবে, ততোদিন পর্যন্ত তারা পুঁজিবাজারে আসবে না। তাছাড়া পুঁজিবাজারে আসতে নানা ধরনের আইনি জটিলতা পেরিয়েই তাদেরকে এখানে লিস্টেড হতে হয়। এই জায়গাটাকে সহজ করতে হবে। কম সময়ে আইপিও অনুমোদন দিতে হবে, অডিটের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। ভালো কোম্পানি আনতে হলে আইপিও প্রাইসিং পলিসি ফেয়ার হতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। সর্বোপরি সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আইন করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড হতে বাধ্য করা বা কড়াকড়ি আরোপ করা সহজ নয়। কেননা আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এমনিতেই অনেক কম। ফলে কড়াকড়ি আরোপ করলে সেটা আারো কমে যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশের অর্থনীতর সঙ্গে পুঁজিবাজারের মিল নেই’

আপডেট সময় : ০২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতর সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোন মিল নেই। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে যখন ধস নামে তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিলো। এরপর থেকে অর্থনীতির অনেক উন্নয়ন হলেও পুঁজিবাজারের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে অনলাইন বিজনেস নিউজপোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম; বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস আওয়ার টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা আকতার হোসেন সান্নামাত (এফসিএ)। এতে সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক ও প্রকাশক আমিরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে গত ২০ বছর ধরে আলোচনা হলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মূল কারণ হিসাবে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত অর্থ পড়ে আছে। ভালো কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো পেছনে পেছনে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ তারা খুব সহজে টাকা পাচ্ছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিতে সময়ক্ষেপণ এবং নানা বাধা পেরোতে হয়। ফলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক এবং পুঁজিবাজারের মধ্যে অবশ্যই ব্যাংক এগিয়ে আছে। সেখানে কস্ট অব ফান্ডও কম। তাহলে কেন তারা পুঁজিবাজারে আসবে? ’তিনি বলেন, ‘যতোদিন পর্যন্ত ব্যাংকে পর্যাপ্ত তারল্য থাকবে, ততোদিন পর্যন্ত তারা পুঁজিবাজারে আসবে না। তাছাড়া পুঁজিবাজারে আসতে নানা ধরনের আইনি জটিলতা পেরিয়েই তাদেরকে এখানে লিস্টেড হতে হয়। এই জায়গাটাকে সহজ করতে হবে। কম সময়ে আইপিও অনুমোদন দিতে হবে, অডিটের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। ভালো কোম্পানি আনতে হলে আইপিও প্রাইসিং পলিসি ফেয়ার হতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। সর্বোপরি সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আইন করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড হতে বাধ্য করা বা কড়াকড়ি আরোপ করা সহজ নয়। কেননা আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এমনিতেই অনেক কম। ফলে কড়াকড়ি আরোপ করলে সেটা আারো কমে যাবে।