ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

দেবর-ভাবিকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাকিলকে (১৮) তার চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়ার ঘর থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে তিনি তাদের আটকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী রাতে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে তাদের আবার নির্যাতন করা হয়। দুপুরে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় হাঁটানো হয়। রাস্তায় হাঁটানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এদিকে এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করছেন। ইউপি সদস্য বলছেন, আমি ঘটনা জানি না। ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বেঁধে নির্যাতন করছে। জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছে। সেই বউকে ঘরে তুলতে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছে। ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। আমি ঘটনাটি জানি না। কে বা কারা আমার নাম প্রচার করে ঘটনাটি রটিয়েছে। আমি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান বলেন, আমার কাছে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আসার পর আমি তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আজ সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছি। শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় দেবর-ভাবিকে হাঁটানো অপরাধ। আমি এটাকে সমর্থন করি না। একজন মানুষকে এভাবে রাস্তায় হেনস্তা করা ঠিক হয়নি। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, আমি বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমাদের না জানিয়ে কাজটি করা হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেবর-ভাবিকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাকিলকে (১৮) তার চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়ার ঘর থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে তিনি তাদের আটকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী রাতে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে তাদের আবার নির্যাতন করা হয়। দুপুরে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় হাঁটানো হয়। রাস্তায় হাঁটানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এদিকে এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করছেন। ইউপি সদস্য বলছেন, আমি ঘটনা জানি না। ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বেঁধে নির্যাতন করছে। জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছে। সেই বউকে ঘরে তুলতে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছে। ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। আমি ঘটনাটি জানি না। কে বা কারা আমার নাম প্রচার করে ঘটনাটি রটিয়েছে। আমি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান বলেন, আমার কাছে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আসার পর আমি তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আজ সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছি। শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় দেবর-ভাবিকে হাঁটানো অপরাধ। আমি এটাকে সমর্থন করি না। একজন মানুষকে এভাবে রাস্তায় হেনস্তা করা ঠিক হয়নি। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, আমি বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমাদের না জানিয়ে কাজটি করা হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।