ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ পাস হওয়ার মাধ্যমে জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয় আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে সম্পূর্ণ অনাবাসিক তকমাসহ নানা সঙ্কটকে মোকাবেলা করে চলছে সব কার্যক্রম। যার ভেতরে অন্যতম- দেড় যুগ পার করলেও সমাবর্তন হয়েছে মাত্র একবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রথম সমাবর্তনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে সমাবর্তন আয়োজন করেনি প্রশাসন। ফলে সমাবর্তনের অপেক্ষায় আছে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের আংশিক শিক্ষার্থী প্রথম সমাবর্তনে অংশ নেন। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করেছে। সর্বমোট স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডিধারী প্রায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর ১১ জানুয়ারি ২০২০ প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পুরাণ ঢাকার ধুপখোলা মাঠে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের উপস্থিতিতে ১৯ হাজার শিক্ষার্থী কালো গাউনে সমাবর্তন উদযাপন করেন। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক পরম চাওয়া সমাবর্তন। দীর্ঘ পড়ালেখা আর অধ্যবসায়ের পর অর্জিত ডিগ্রির সনদপত্র গ্রহণের কালো গাউনে উদযাপন করা সব শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। দীর্ঘ চার বছর পড়ালেখার পর সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে সমাবর্তনের আয়োজন না করলে এই জট আরো দীর্ঘতর হবে বলে মনে করেন তারা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একেএম আক্তারুজ্জামান বলেন, যে কোনো সময় সমাবর্তন আয়োজনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট ইস্যু করা খুব বেশি সময়ের ব্যাপার না। প্রশাসন থেকে ঘোষণা আসলে আমরা কাজ শুরু করব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সমাবর্তন আয়োজন করতে হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার একটা বিষয় থাকে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিডিউল চেয়েছি। সেটা পেলেই আমরা খুব দ্রুত সময়ে সমাবর্তন আয়োজন করব।
দেড় যুগে জবির সমাবর্তন মাত্র একবার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ