ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

দেড়শ টাকার আম সাড়ে তিন টাকায় বিক্রি

  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা: আধা ঘণ্টার ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় ঝরে পড়েছে পরিপক্ব আম। কয়েকদিন পরই এসব আম বাজারে উঠত। এসব আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৩ টাকা কেজি দরে। এতে দুশ্চিতায় দিন কাটছে আম চাষিদের।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার জাতাহারা, রহনপুর, জামতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বস্তায় করে ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে আম বিক্রি করতে আসছেন চাষিরা। আর রাস্তায় বসে এসব আম সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব আম যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

গোমস্তাপুর উপজেলার আম চাষি আজিম আলি বলেন, ‘গত রাতে এ উপজেলায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এতে গোলাভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতসহ ঝড়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব আম বিক্রি করতে হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে। কয়েকদিন পরেই এসব আম বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে।’

একই এলাকার আম চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে ঝরে যাওয়া আম কেউ কিনে নিতে চায় না। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে এসব আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘রাতের ঝড় বৃষ্টিতে কিছু আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এসব আম তেমন কোনো কাজে না আসায় কম দামে বিক্রি হয়।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্তমানে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে মৌসুমি আমের বাগান রয়েছে। এতে চলতি বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।’

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেড়শ টাকার আম সাড়ে তিন টাকায় বিক্রি

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা: আধা ঘণ্টার ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় ঝরে পড়েছে পরিপক্ব আম। কয়েকদিন পরই এসব আম বাজারে উঠত। এসব আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৩ টাকা কেজি দরে। এতে দুশ্চিতায় দিন কাটছে আম চাষিদের।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার জাতাহারা, রহনপুর, জামতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বস্তায় করে ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে আম বিক্রি করতে আসছেন চাষিরা। আর রাস্তায় বসে এসব আম সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব আম যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

গোমস্তাপুর উপজেলার আম চাষি আজিম আলি বলেন, ‘গত রাতে এ উপজেলায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এতে গোলাভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতসহ ঝড়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব আম বিক্রি করতে হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে। কয়েকদিন পরেই এসব আম বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে।’

একই এলাকার আম চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে ঝরে যাওয়া আম কেউ কিনে নিতে চায় না। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে এসব আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘রাতের ঝড় বৃষ্টিতে কিছু আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এসব আম তেমন কোনো কাজে না আসায় কম দামে বিক্রি হয়।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্তমানে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে মৌসুমি আমের বাগান রয়েছে। এতে চলতি বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।’

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ