ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

দৃষ্টিহীন হয়েও হয়েছেন তিনি ফটোগ্রাফার

  • আপডেট সময় : ১০:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : অতি বিরল রোগ ও চোখের দৃষ্টি ছাড়াই জন্ম হয় আমজাদ আল-মুতাইরির। অন্য শিশুরা চোখে দেখলেও তিনি পৃথিবীকে ঠিক মতো প্রত্যক্ষ করতে পারেননি। তবে বর্তমানে ২০ বছর বয়সী সৌদি আরবের এ তরুণীর জীবনে দৃষ্টিহীনতা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
নিজের প্রবল ইচ্ছায় দৃষ্টি ছাড়াও তিনি হয়েছেন ফটোগ্রাফার। অন্যদের মতো তিনিও ক্যামেরাবন্দি করেন অসাধারণ সব দৃশ্য।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জন্মের পর আমজাদ আল-মুতাইরি অতি বিরল আর্টেরিয়াল টোর্টোসিটি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হন। বিরল এ রোগের কারণে শরীরের ধমনীতে নানান সমস্যা হয়। যার কারণে জীবনহানিকর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া চোখের সমস্যা নিয়েও জন্মান তিনি। তার বাম চোখটি পুরোপুরি অন্ধ। অপরদিকে ডান চোখে খুবই অস্পষ্ট বা বলতে গেলে দেখতেই পান না তিনি। কিন্তু ২০ বছর বয়সী মুতাইরির ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফার হবেন। এজন্য ফটোগ্রাফির একটি অনলাইন ক্লাসে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার শিক্ষক তাকে জানান, তার যে অবস্থা তাতে তিনি ফটোগ্রাফার হতে পারবেন না। এমন কথা শুনে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে তিনি ফটোগ্রাফি নিয়ে ভাবতে থাকেন। তখন তার মাথায় আসে— এমন একটি ক্যামেরার উদ্ভাবন করবেন যেটি দিয়ে দৃষ্টিহীনরা ছবি তুলতে পারবেন এবং এতে ভয়েস আউটপুট থাকবে। যদিও এখনো এ ক্যামেরাটি আলোর মুখ দেখেনি। তাই এখন সাধারণ ক্যামেরা দিয়েই ছবি তোলেন তিনি। ছবি তোলা এবং ছবিগুলো দেখতে কেমন হয়েছে সেটি বুঝতে দৃষ্টিহীনদের জন্য তৈরি কয়েকটি পোগ্রাম ব্যবহার করেন মুতাইরি। ওই পোগ্রামগুলো ছবিগুলো কথায় উচ্চারণ করে শোনায় এবং বর্ণনা করে। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফটোগ্রাফি শিখেছি পোগ্রামের সহায়তা নিয়ে, যেটি ছবির বর্ণনা উচ্চারণ করে বলে। এছাড়া আমার নিজস্ব সৃজনশীল ও শৈল্পিক অনুভূতি আছে যার মাধ্যমে আমি ছুবি বুঝতে পারি।’ মুতাইরি শুধুমাত্র ফটেগ্রাফি না— তিনি সৌদি কিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া বিভাগেও পড়াশোনা করছেন। সেখানে তার মধ্যে বিশেষ মানুষদের জন্য শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা আছে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

দৃষ্টিহীন হয়েও হয়েছেন তিনি ফটোগ্রাফার

আপডেট সময় : ১০:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : অতি বিরল রোগ ও চোখের দৃষ্টি ছাড়াই জন্ম হয় আমজাদ আল-মুতাইরির। অন্য শিশুরা চোখে দেখলেও তিনি পৃথিবীকে ঠিক মতো প্রত্যক্ষ করতে পারেননি। তবে বর্তমানে ২০ বছর বয়সী সৌদি আরবের এ তরুণীর জীবনে দৃষ্টিহীনতা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
নিজের প্রবল ইচ্ছায় দৃষ্টি ছাড়াও তিনি হয়েছেন ফটোগ্রাফার। অন্যদের মতো তিনিও ক্যামেরাবন্দি করেন অসাধারণ সব দৃশ্য।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জন্মের পর আমজাদ আল-মুতাইরি অতি বিরল আর্টেরিয়াল টোর্টোসিটি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হন। বিরল এ রোগের কারণে শরীরের ধমনীতে নানান সমস্যা হয়। যার কারণে জীবনহানিকর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া চোখের সমস্যা নিয়েও জন্মান তিনি। তার বাম চোখটি পুরোপুরি অন্ধ। অপরদিকে ডান চোখে খুবই অস্পষ্ট বা বলতে গেলে দেখতেই পান না তিনি। কিন্তু ২০ বছর বয়সী মুতাইরির ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফার হবেন। এজন্য ফটোগ্রাফির একটি অনলাইন ক্লাসে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার শিক্ষক তাকে জানান, তার যে অবস্থা তাতে তিনি ফটোগ্রাফার হতে পারবেন না। এমন কথা শুনে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে তিনি ফটোগ্রাফি নিয়ে ভাবতে থাকেন। তখন তার মাথায় আসে— এমন একটি ক্যামেরার উদ্ভাবন করবেন যেটি দিয়ে দৃষ্টিহীনরা ছবি তুলতে পারবেন এবং এতে ভয়েস আউটপুট থাকবে। যদিও এখনো এ ক্যামেরাটি আলোর মুখ দেখেনি। তাই এখন সাধারণ ক্যামেরা দিয়েই ছবি তোলেন তিনি। ছবি তোলা এবং ছবিগুলো দেখতে কেমন হয়েছে সেটি বুঝতে দৃষ্টিহীনদের জন্য তৈরি কয়েকটি পোগ্রাম ব্যবহার করেন মুতাইরি। ওই পোগ্রামগুলো ছবিগুলো কথায় উচ্চারণ করে শোনায় এবং বর্ণনা করে। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফটোগ্রাফি শিখেছি পোগ্রামের সহায়তা নিয়ে, যেটি ছবির বর্ণনা উচ্চারণ করে বলে। এছাড়া আমার নিজস্ব সৃজনশীল ও শৈল্পিক অনুভূতি আছে যার মাধ্যমে আমি ছুবি বুঝতে পারি।’ মুতাইরি শুধুমাত্র ফটেগ্রাফি না— তিনি সৌদি কিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া বিভাগেও পড়াশোনা করছেন। সেখানে তার মধ্যে বিশেষ মানুষদের জন্য শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা আছে।