ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

দূষিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে

  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। নতুন এক গবেষণায় স্ট্রোক বা মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘাড়ের রক্তনালিতে প্লাস্টিক কণার পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে। তাই মাইক্রোপ্লাস্টিকের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঘাড়ের প্রধান ধমনিতে ফ্যাটি প্লাক জমতে দেখা যায়। সুস্থ ধমনির ব্যক্তিদের তুলনায় যাঁদের ঘাড়ের ধমনিতে প্লাক বেশি রয়েছে, তাঁদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ঘনত্ব বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব প্লাস্টিক কণা স্ট্রোকের জন্য একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। যাঁরা স্ট্রোক বা মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এই পার্থক্য বেশি স্পষ্ট ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রস ক্লার্ক বলেন, অনেক বছর সময় নিয়ে প্লাস্টিক ভেঙে যায় এবং তা মাটি ও পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে খাদ্যশৃঙ্খলে জমা হতে পারে। অনেকে মনে করেন, মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিক শুধু প্লাস্টিকের পাত্র, কাটিং বোর্ড, প্যাকেজিং, পানির বোতল ও অন্যান্য প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করলে তৈরি হয়। কিন্তু মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রধান উৎস হচ্ছে, আমাদের খাবার ও পানীয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোক, মিনিস্ট্রোক বা রেটিনায় রক্তপ্রবাহে বাধার কারণে অস্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিদের শরীরে প্লাস্টিকের ঘনত্ব ৫০ গুণের বেশি ছিল। তবে মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের মাত্রা ও আকস্মিক প্রদাহের লক্ষণের মধ্যে কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্লার্ক বলেন, নতুন তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের জৈবিক প্রভাব কেবল হঠাৎ প্রদাহ সৃষ্টি করার চেয়ে জটিল ও সূক্ষ্ম। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার নিউরোলজিস্ট কারেন এল ফুরি বলেন, ‘নতুন গবেষণার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। আজ পর্যন্ত আমরা মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে যে স্ট্রোক হতে পারে, তা ঝুঁকির কারণ বলে বিবেচনা করিনি।’ সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দূষিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। নতুন এক গবেষণায় স্ট্রোক বা মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘাড়ের রক্তনালিতে প্লাস্টিক কণার পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে। তাই মাইক্রোপ্লাস্টিকের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঘাড়ের প্রধান ধমনিতে ফ্যাটি প্লাক জমতে দেখা যায়। সুস্থ ধমনির ব্যক্তিদের তুলনায় যাঁদের ঘাড়ের ধমনিতে প্লাক বেশি রয়েছে, তাঁদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ঘনত্ব বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব প্লাস্টিক কণা স্ট্রোকের জন্য একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। যাঁরা স্ট্রোক বা মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এই পার্থক্য বেশি স্পষ্ট ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রস ক্লার্ক বলেন, অনেক বছর সময় নিয়ে প্লাস্টিক ভেঙে যায় এবং তা মাটি ও পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে খাদ্যশৃঙ্খলে জমা হতে পারে। অনেকে মনে করেন, মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিক শুধু প্লাস্টিকের পাত্র, কাটিং বোর্ড, প্যাকেজিং, পানির বোতল ও অন্যান্য প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করলে তৈরি হয়। কিন্তু মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রধান উৎস হচ্ছে, আমাদের খাবার ও পানীয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোক, মিনিস্ট্রোক বা রেটিনায় রক্তপ্রবাহে বাধার কারণে অস্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিদের শরীরে প্লাস্টিকের ঘনত্ব ৫০ গুণের বেশি ছিল। তবে মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের মাত্রা ও আকস্মিক প্রদাহের লক্ষণের মধ্যে কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্লার্ক বলেন, নতুন তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের জৈবিক প্রভাব কেবল হঠাৎ প্রদাহ সৃষ্টি করার চেয়ে জটিল ও সূক্ষ্ম। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার নিউরোলজিস্ট কারেন এল ফুরি বলেন, ‘নতুন গবেষণার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। আজ পর্যন্ত আমরা মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে যে স্ট্রোক হতে পারে, তা ঝুঁকির কারণ বলে বিবেচনা করিনি।’ সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট