ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দু-এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার

  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু-এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা করছেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বুধবার জানিয়েছেন যে ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি সংকল্পবদ্ধ
আন্তর্জাতিক চাপ ও আহ্বান উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আজ ভোরে গাজার উত্তরে হামাসের কথিত স্থাপনা লক্ষ্য করে শতাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো। গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন দেড় হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় তাদের হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।
ইসরায়েলের ভাষ্য, গাজা থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। রকেটে ২ শিশুসহ ১২ জন নিহত ও অন্তত ৩০০ জন আহত হওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল।
হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসা আবু মারজৌক লেবাননের একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘আমি মনে করি, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে চলমান প্রচেষ্টা সফল হবে।’ মুসা আরও বলেন, এক বা দুদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। আর এই যুদ্ধবিরতি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই হবে।
সহিংসতা বন্ধের জন্য ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। তার মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এমন ইতিবাচক মন্তব্য এল।
ইসরায়েলের একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা এখনো চলছে।
দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধিবিরতি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ফল আনতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদকে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কোনো যৌথ বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির দাবি, এমন প্রকাশ্য বিবৃতি উত্তেজনা নিরসন করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সাম্প্রতিকতম সহিংসতা শুরু হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এটি চতুর্থ ফোনালাপ। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতি ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
ফ্রান্স বলেছে, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় তারা ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশগুলো, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে কাজ করছে। এ-সংক্রান্ত ফরাসি প্রস্তাবে সমর্থন ব্যক্ত করেছে চীন। এদিকে রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইসরায়েলি পদক্ষেপে গাজায় আরও বেসামরিক লোকজন মারা গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

দু-এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার

আপডেট সময় : ১২:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু-এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা করছেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বুধবার জানিয়েছেন যে ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি সংকল্পবদ্ধ
আন্তর্জাতিক চাপ ও আহ্বান উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আজ ভোরে গাজার উত্তরে হামাসের কথিত স্থাপনা লক্ষ্য করে শতাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো। গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন দেড় হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় তাদের হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।
ইসরায়েলের ভাষ্য, গাজা থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। রকেটে ২ শিশুসহ ১২ জন নিহত ও অন্তত ৩০০ জন আহত হওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল।
হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসা আবু মারজৌক লেবাননের একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘আমি মনে করি, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে চলমান প্রচেষ্টা সফল হবে।’ মুসা আরও বলেন, এক বা দুদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। আর এই যুদ্ধবিরতি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই হবে।
সহিংসতা বন্ধের জন্য ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। তার মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এমন ইতিবাচক মন্তব্য এল।
ইসরায়েলের একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা এখনো চলছে।
দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধিবিরতি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ফল আনতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদকে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কোনো যৌথ বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির দাবি, এমন প্রকাশ্য বিবৃতি উত্তেজনা নিরসন করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সাম্প্রতিকতম সহিংসতা শুরু হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এটি চতুর্থ ফোনালাপ। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতি ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
ফ্রান্স বলেছে, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় তারা ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশগুলো, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে কাজ করছে। এ-সংক্রান্ত ফরাসি প্রস্তাবে সমর্থন ব্যক্ত করেছে চীন। এদিকে রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইসরায়েলি পদক্ষেপে গাজায় আরও বেসামরিক লোকজন মারা গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।