ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে সর্বদা যুদ্ধে থাকতে হয়: আইজিপি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় পুলিশকে সর্বদা যুদ্ধে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে যখন যুদ্ধাবস্থা হয় তখন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ডিফেন্স ফোর্সেস অংশ নেয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সময়ে যারা দুষ্কৃতকারী, জনগণ ও রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশই ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। যেখানেই যুদ্ধ সেখানেই প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে, প্রাণহানি ঘটে।
গতকাল রোববার রাজধানীর মিরপুর-১৪ পুলিশ স্টাফ কলেজ কম্পাউন্ডে পুলিশে কর্মরত অবস্থায় নিহত সদস্যদের সম্মানে তৈরি পুলিশ মেমোরিয়ালের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব বলেন।
নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে আইজিপি বলেন, আমাদের কোনো পুলিশ সদস্যের যখন প্রাণ যায়, তখন আমরা শুধুমাত্র একটা মুখচ্ছবি হারাই না। আমরা একজন কমরেডকে হারাই, প্রিয়জন, সাথী, সহকর্মী, বন্ধুকে হারাই। তিনি বলেন, একই সঙ্গে একটি পরিবার তাদের প্রিয় মানুষটিকে হারায়। স্বামী তার স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীকে হারান, সন্তান তার বাবা কিংবা মাকে, বাবা-মা তার ভালোবাসার সন্তানকে হারায়। এটি একটা বিশাল ক্যানভাস থেকে আমরা হারিয়ে ফেলি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুরো পুলিশ মেমোরিয়াল ভবন পরিদর্শন করেন আইজিপি।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশে চাকরির কারণে যে সমস্ত পরিবার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়েছেন, আমাদের সান্ত¡নার ভাষা নেই সেসব পরিবারের প্রতি। আমরা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে সেই সদস্যদের স্মরণ করছি।
আইজিপি বলেন, আজ একটি তাৎপর্যময় গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকে আমরা পুলিশ সার্ভিসের জন্য, বাহিনীর জন্য পুলিশ মেমোরিয়াল উদ্বোধন করলাম। বিভিন্ন দেশেই এমন মেমোরিয়াল হল রয়েছে। ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী পুলিশ লাইন ডিউটিতে প্রাণ হারায়। আমরাও প্রতিবছর শত শত সহকর্মীকে হারাই কর্তব্যরত অবস্থায়। করোনার দুই বছরে আমরা ১০৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। হাজার হাজার সদস্য ইনফেকটেড ও অসুস্থ হয়েছে। সুস্থ হয়ে আবার কর্মে ফিরেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ১৯৭১ সালেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করেছে। শাহাদতবরণ করেছে। এই যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে উঠা পুলিশ বাহিনী প্রথম শাহাদতবরণকারী বাহিনী। মানুষের জন্য, নিরাপত্তা শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য এখনো আত্মউৎসর্গ করে চলেছে।
প্রতি বছর আমরা পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালন করছি। মেমোরিয়াল ডে তে ঐ বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মেমেরিয়াল ডে পালন করার জন্য ইতোপূর্বে রেপলিকা স্মৃতি তৈরি করে পালন করা হয়েছে।
‘আমাদের এখানে যে মেমোরিয়াল হল ও টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বিভিন্ন সময়ে কর্তব্যরত অবস্থায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগ করা সদস্যদের নাম থাকবে। তাদের জীবনবৃত্তান্তের আর্কাইভ রয়েছে। ৭১ স্মরণে ৭১ ফিট টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ মেমোরিয়াল দর্শনার্থীদের জন্য মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে সর্বদা যুদ্ধে থাকতে হয়: আইজিপি

আপডেট সময় : ১২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় পুলিশকে সর্বদা যুদ্ধে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে যখন যুদ্ধাবস্থা হয় তখন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ডিফেন্স ফোর্সেস অংশ নেয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সময়ে যারা দুষ্কৃতকারী, জনগণ ও রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশই ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। যেখানেই যুদ্ধ সেখানেই প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে, প্রাণহানি ঘটে।
গতকাল রোববার রাজধানীর মিরপুর-১৪ পুলিশ স্টাফ কলেজ কম্পাউন্ডে পুলিশে কর্মরত অবস্থায় নিহত সদস্যদের সম্মানে তৈরি পুলিশ মেমোরিয়ালের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব বলেন।
নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে আইজিপি বলেন, আমাদের কোনো পুলিশ সদস্যের যখন প্রাণ যায়, তখন আমরা শুধুমাত্র একটা মুখচ্ছবি হারাই না। আমরা একজন কমরেডকে হারাই, প্রিয়জন, সাথী, সহকর্মী, বন্ধুকে হারাই। তিনি বলেন, একই সঙ্গে একটি পরিবার তাদের প্রিয় মানুষটিকে হারায়। স্বামী তার স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীকে হারান, সন্তান তার বাবা কিংবা মাকে, বাবা-মা তার ভালোবাসার সন্তানকে হারায়। এটি একটা বিশাল ক্যানভাস থেকে আমরা হারিয়ে ফেলি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুরো পুলিশ মেমোরিয়াল ভবন পরিদর্শন করেন আইজিপি।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশে চাকরির কারণে যে সমস্ত পরিবার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়েছেন, আমাদের সান্ত¡নার ভাষা নেই সেসব পরিবারের প্রতি। আমরা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে সেই সদস্যদের স্মরণ করছি।
আইজিপি বলেন, আজ একটি তাৎপর্যময় গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকে আমরা পুলিশ সার্ভিসের জন্য, বাহিনীর জন্য পুলিশ মেমোরিয়াল উদ্বোধন করলাম। বিভিন্ন দেশেই এমন মেমোরিয়াল হল রয়েছে। ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী পুলিশ লাইন ডিউটিতে প্রাণ হারায়। আমরাও প্রতিবছর শত শত সহকর্মীকে হারাই কর্তব্যরত অবস্থায়। করোনার দুই বছরে আমরা ১০৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। হাজার হাজার সদস্য ইনফেকটেড ও অসুস্থ হয়েছে। সুস্থ হয়ে আবার কর্মে ফিরেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ১৯৭১ সালেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করেছে। শাহাদতবরণ করেছে। এই যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে উঠা পুলিশ বাহিনী প্রথম শাহাদতবরণকারী বাহিনী। মানুষের জন্য, নিরাপত্তা শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য এখনো আত্মউৎসর্গ করে চলেছে।
প্রতি বছর আমরা পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালন করছি। মেমোরিয়াল ডে তে ঐ বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মেমেরিয়াল ডে পালন করার জন্য ইতোপূর্বে রেপলিকা স্মৃতি তৈরি করে পালন করা হয়েছে।
‘আমাদের এখানে যে মেমোরিয়াল হল ও টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বিভিন্ন সময়ে কর্তব্যরত অবস্থায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগ করা সদস্যদের নাম থাকবে। তাদের জীবনবৃত্তান্তের আর্কাইভ রয়েছে। ৭১ স্মরণে ৭১ ফিট টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ মেমোরিয়াল দর্শনার্থীদের জন্য মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’